Mamata On Howrah Ram Navami Clash: 'সংখ্যালঘুরা কেউ জড়িত নয়', হাওড়া নিয়ে Exclusive প্রতিক্রিয়া মমতার

'আমি সংখ্যালঘুদের শান্ত থাকার অনুরোধ করছি। বিজেপি হিংসা ছড়াতে চাইছে।' বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মমতা।

Advertisement
'সংখ্যালঘুরা কেউ জড়িত নয়', হাওড়া নিয়ে Exclusive প্রতিক্রিয়া মমতারমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাইলাইটস
  • কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি মমতার।
  • সংখ্যালঘুদের শান্ত থাকার বার্তা।

হাওড়ার হিংসার ঘটনা পরিকল্পিত। বাংলাকে অশান্ত করতে পরিকল্পনা করে হামলা করেছে বিজেপি। ইন্ডিয়া টুডে-কে এক্সক্লুসিভ প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন,'সংখ্যালঘুরা কেউ জড়িত না। তারা রমজান ও নমাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ওই এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।'   

ফোনে মমতা এ দিন বলেন,'বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না। ওরা হিংসা ছড়াতে চাইছে। তার পর এনআইএ, কেন্দ্রীয় দলকে ডাকবে। আদালতে যাবে। এটাই ওদের পরিকল্পনা। দেশের একশো জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে চাইছে। আমরা এটা করতে দিইনি। অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমি শোভাযাত্রা করতে দিইনি। রিভলভার, পেট্রল বম্ব নিয়ে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা করেছে ওরা। রমজান মাসে উস্কানি দেব। তার পর চ্যানেলকে বলব দেখো কী হচ্ছে!' তাঁর অভিযোগ, বাংলাকে অশান্ত করার পরিকল্পনা বিজেপির। বাংলা অশান্ত হলে দেশও অশান্ত হবে। ওরা পরিকল্পনা করে হামলা করেছে।

মমতা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন,'ওরা দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের কোনও ধর্মীয় পরিচয় নেই। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।' মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা,সংখ্যালঘুদের সহযোগিতা করব। আমি সংখ্যালঘুদের শান্ত থাকার অনুরোধ করছি। বিজেপি হিংসা ছড়াতে চাইছে। দুষ্কৃতীদের কোনও সুবিধা পাইয়ে দেবেন না। ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছি।'

আরও পড়ুন- হাওড়ার হিংসার ঘটনায় CBI তদন্ত দাবি, হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর

ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। মমতার কথায়,এরা কেউ হিন্দু ছিল না। সবাই দুষ্কৃতী। এরা স্থানীয় ছিল না। বন্দুক, পেট্রল বম্ব নিয়ে বাইরে থেকে আনা হয়েছিল। পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করেছিল। পুলিশ গুলি চালায়নি। কেউ মারা যেতে পারত। ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে।'

বলে রাখি, বৃহস্পতিবার রাম নবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু গাড়ি। চলে ভাঙচুর। ঘটনার পর এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।       

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement