সাত সকালে জয়নগরে জোড়া খুনে অগ্নিগর্ভ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগর। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও, তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার দাবি বিজেপি ও সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মিলেই খুন করেছে অঞ্চল সভাপতিকে। এ দিকে এই ঘটনার পরই বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলুয়াখাঁটি গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বাড়ি-ঘর, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।
এলাকায় পুলিশ পৌঁছলেও এখনও পর্যন্ত দমকলের কোনও ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয়নি। যেহেতু গ্রামীণ এলাকা ফলে রাস্তাঘাট অত্যন্ত খারাপ সেই কারণে এখনও পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি কোনও ইঞ্জিন। এলাকায় যাঁরা মূলত বিরোধী দল করেন তাঁদের মূলত টার্গেট করে বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যে মেরেছে, তাঁকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত জানিয়েছে সে খুন করেছে।
উল্লেখ্য, বাড়ি থেকে বেরিয়ে নামাজ পড়তে যাওয়ার পর সোমবার খুন হন সইফুদ্দিন লস্কর (৪৩)। সেই সময় পাঁচজন দুষ্কৃতী সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থলেই ঝাঁঝরা হয়ে যান ওই তৃণমূল নেতা। গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবং এক দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। এর মধ্যে এক অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ। অপর এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে। তৃণমূলের এই অভিযোগ বিরোধী দলের লোকজন এই খুনের পিছনে। ঘটনার পর থেকেই কার্যত উত্তপ্ত হতে থাকে এলাকা। একের পর এক বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হয় বলে অভিযোগ।