স্যালাইন বিতর্কে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। বিজেপি নেতার অভিযোগ, কর্ণাটকে এই স্যালাইনে বিষক্রিয়ায় ৪ জনের মৃত্যুর পরও তাই নিয়ে কোনও সতর্কতা জারি হয়নি। সোমবার স্যালাইন-মত্যু নিয়ে মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই বিষয়ে CID তদন্তের কথা জানান তাঁরা। তাঁদের চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দুর দাবি, কোনও সরকারি নথি দেখিয়ে প্রমাণ করা হোক যে, এই মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধ করতে হাসপাতালগুলিকে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। স্ট্যাম্পড ইমেলের কপি দাবি করেছেন শুভেন্দু।
এর আগে সোমবার একই ইস্যুতে বিধানসভার বাইরে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। বিস্ফোরক দাবি তুলে শুভেন্দু বলেন, 'এ ঘটনায় একমাত্র দায়ী তৃণমূল সরকার।' তিনি অভিযোগ করেন, 'যে ওষুধ কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই কোম্পানিকে ২০ ডিসেম্বর নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর. তবে এক মাস পরেও এই কোম্পানির স্যালাইন কীভাবে সরকারি হাসপাতালে ব্যবহৃত হল?'
গতকাল তো বটেই, এদিন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টেও শুভেন্দু রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে 'অবহেলা'র অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, 'কর্ণাটক সরকার আগেই এই বিষয়ে রাজ্যকে সতর্ক করেছিল।'
এদিনের পোস্টে শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবের সাংবাদিক সম্মেলনে বার বার 'নেগলিজেন্স' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, কার্যত জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধেই দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুভেন্দু সরাসরি বলেন, 'আপনাদের স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীই দায়ী। এটা তাঁদের গাফিলতি। আপনাদেরই সিআইডির তাঁদের গ্রেফতার উচিত।'
দেখুন @SuvenduWB-র পোস্ট:
Mr. @chief_west Manoj Pant, it seems that under the instructions of Health Minister Mamata Banerjee, you and Health Secretary; Narayan Swaroop Nigam are orchestrating to shift the entire blame of the Medinipur Medical College mishap to the Obstetrics and Gynaecology Unit of the… pic.twitter.com/7pAAU7PIbc
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) January 13, 2025
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে রিঙ্গার্স ল্যাকটেট প্রদানের পর ৪ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। পরিজনদের অভিযোগ মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।