খড়গপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট লুঠ ও ইভিএম ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ। সঙ্গে বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠছে। ঘটনাকে ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। খবর পেয় ঘটনাস্থেল পৌঁছায় বিরাট পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই ১ জনকে আটক করা হয়েছে।
অভিযোগ, এদিন ভোট চলাকালীন খড়গপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভারতী বিদ্যাপীঠে ঢুকে পড়ে ১৪-১৫ জন দুষ্কতীর একটি দল। মুখে মাস্ক পরা ছিল তাদের। ওই স্কুলের ৫টি বুথেই তাণ্ডব চালায় তারা। প্রিসাইডিং অফিসারের মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে চলল চড়-থাপ্পড়। এমনকি পুলিশ কর্মীর বন্দুক ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে নিমেষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই স্কুলে। উপস্থিত ভোটাররা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। কেউ কেউ ভয়ে কেঁদেও ফেলেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে ছাপ্পা ভোট দেয় দুষ্কৃতীরা।
তৃণমূল আশ্রিত দৃষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। সিপিআইএম প্রার্থাী নিলু সিং-এর অভিযোগ, ইভিএম ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রবীর ঘোষ।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সামনেই বচসা ও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও সিপিআইএম কর্মী সমর্থকের। ঘটনায় জড়ত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে এদিনই, কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধর ও পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াস খড়্গপুরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ট্রাফিক হাইস্কুলের বুথে। জানা গিয়েছে , এদিন সকাল থেকেই ওই বুথে দু'পক্ষের জমায়েতকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে থাকে দু'পক্ষের। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এমনকি কংগ্রেস প্রার্থী বিষ্ণু বাহাদুর কামিকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। পালটা একই অভিযোগ তোলেন তৃণমূল প্রার্থী হায়দার আলিও। এরপরেই ইএফআর-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন - দুর্দান্ত অফার, ৯০০ টাকারও কম দামে ঘরে আনুন AC