এবার উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা পিএসসি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হানা। বিধায়কের বাড়িতে সকাল থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলছে তল্লাশি। শুধু বিধায়কের বাড়িই নয়, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির কর্তারা। এই অভিযানে ইডির সঙ্গে আয়কর দফতরের আধিকারিকরাও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
রায়গঞ্জের বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি কৃষ্ণ কল্যাণী একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীও। তাঁর একাধিক ব্যবসা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কল্যাণী সলভেক্স নামে একটি সংস্থাও। সেই সংস্থারই আর্থিক লেনদেন নিয়ে অতীতে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার সন্দেহ, ওই কোম্পানির মাধ্যমে বেশ কয়েক কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সেই মোতাবেক গত বছর জুলাই মাসে কল্যাণী সলভেক্সকে নোটিশ পাঠায় ইডি। জানতে চাওয়া হয়েছে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই কোম্পানি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কত টাকা ব্যয় করেছে? সেই হিসাব পাওয়ার পরও সন্দেহ দূর হয়নি গোয়েন্দাদের। এরপর আরও দু'দফা নথি চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, তবে সেই নথি থেকে সন্তুোষজনক উত্তর না পাওয়ার জেরেই এদিনের এই তল্লাশি অভিযান।
এদিনের এই অভিযানের বিষয়ে আগে থেকে কোনও খবরই পাননি বিধায়ক। এই বিষয়ে কৃষ্ণকল্যাণীর আপ্ত সহায়ক বলেন, আচমকাই নেতার বাড়িতে পৌঁছান একদল গোয়েন্দা। প্রথমে তাঁরা বুঝতে পারেননি আয়কর দফতরে আধিকারিকরা, নাকি অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা এসেছেন। পরবর্তীতে প্রত্যেকের মোবাইল নিয়ে নেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এরপর বিধায়কের বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি শুরু হয়। বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। পরবর্তীতে বিধানসভায় দাঁড়িয়েই কৃষ্ণ কল্যাণী দাবি করেন, তাঁর বাড়িতে আয়কর দফতরের হানা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে এদিন ইডি ও আইটি হানার পর, বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কোনও কোনওমহলে।
আরও পড়ুন - বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, প্রমাদ গুনছে ওড়িশা, বাংলায় কী প্রভাব?