scorecardresearch
 

'ওঁর জ্ঞান প্রবল, ওঁকেই সাক্ষী হিসেবে ট্রিট করা হোক,' ফের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা কুণালের

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতির মুখে এক অভিনেত্রীর কথা শোনা যায়। তিনি বলেন, "শুনেছি এক অভিনেত্রী ৩টি ফ্ল্যাট ভেঙে একটি বড় ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এই অভিনেত্রীকে দেখতে চাই, তাঁর সিনেমাও দেখতে চাই। জানতে চাই তিনি কে"? একইসঙ্গে ইডিকে হলফনামা পেশের নির্দেশও দেন মাননীয় বিচারপতি। তারপরেই এই মন্তব্য করতে শোনা গেলে কুণাল ঘোষকে। 

Advertisement
কুণাল ঘোষ কুণাল ঘোষ
হাইলাইটস
  • ফের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা কুণালের
  • এবার নাম করে আক্রমণ
  • কী বললেন তৃণমূল নেতা?

এবার সরাসরি নাম করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Gangopadhyay) আক্রমণ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার বিচারপতিকেই 'সাক্ষী' করা দাবি তুললেন কুণাল। একইসঙ্গে বিচারপতির '১৬৪' অর্থাৎ 'গোপন জবানবন্দি' নেওয়ারও দাবি জানান তৃণমূল মুখপাত্র। 

বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন,"জাস্টিস গাঙ্গুলির কথাবার্তা যা শুনি তাতে মনে হয় ওনার জ্ঞান প্রবল। উনি কিন্তু অত্যন্ত সচেতন এবং গোটা সাবজেক্টটায় ওনার একটা স্পষ্ট ধারণা আছে। উনি জানেন, উনি মাথা কে জানেন, উনি ধেড়ে ইঁদুর কী জিনিস জানেন। তার কারণ উনি দীর্ঘদিন এই এসএসসির আইনি ব্যবস্থার সঙ্গে পেশাগতভাবে জড়িত ছিলেন, ফলে অহেতুক রাজ্য সরকার, রাজ্য পুলিশ, তাদের হাত থেকে চলে গেল সিবিআইতে, সিবিআই বা ইডি, তারাও নাকি পারছে না। এর একমাত্র সলিউশান হচ্ছে, জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি গোটা বিষয়টা জানেন, তাঁকে এই মামলায় জাজ হিসেবে রাখলে সময় নষ্ট হবে, ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সিগুলো কাঠগড়ায় উঠবে, তাদের সময় নষ্ট হবে। ফলে তাঁকে সরাসরি উইটনেস হিসেবে ট্রিট করে, তাঁর ১৬৪ করা হোক কোর্টে, উনি বলে দিন কে মাথা, কে লেজ, কে কাকে কী করেছে, আকারে ইঙ্গিতে অহেতুক সময় নষ্ট হচ্ছে"। 

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতির মুখে এক অভিনেত্রীর কথা শোনা যায়। তিনি বলেন, "শুনেছি এক অভিনেত্রী ৩টি ফ্ল্যাট ভেঙে একটি বড় ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এই অভিনেত্রীকে দেখতে চাই, তাঁর সিনেমাও দেখতে চাই। জানতে চাই তিনি কে"? একইসঙ্গে ইডিকে হলফনামা পেশের নির্দেশও দেন মাননীয় বিচারপতি। তারপরেই এই মন্তব্য করতে শোনা গেলে কুণাল ঘোষকে। 

প্রসঙ্গত, এই আগে নাম না করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। সেই সময় বিচারপতিকে 'AG' বা 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলী' নামে কটাক্ষ করেন কুণাল (Kunal Ghosh)। তৃণমূলের মুখপাত্র বলেছিলেন, "কেউ হয়ত নিজেকে অরণ্যদেব ভাবছেন। কিন্তু বিচারকের চেয়ারের সুরক্ষা নিয়ে কেউ যদি বলে আমার দলকে তুলে দেবে, একজন মুখপাত্র হিসেবে তাঁকে কি আমি রসগোল্লা খাওয়াব নাকি? যান অরণ্যদেব গাঙ্গুলী, আপনার যা ক্ষমতা আছে করে নিন। জুনিয়ার হিসেবে কোন সিনিয়রের পিছনে ঘুরতেন, সেই রাজনৈতিক উইশ লিস্ট বিচারকের আসনে বসে বলা যায় না"। কুণালের সেই মন্তব্য ঘিরেও শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিকমহলে। 

আরও পড়ুন - মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ বিশ্বভারতীর, শিক্ষামহল কী বলছে?

Advertisement

 

Advertisement