Lagnajita Incident: 'এটা বাংলাদেশ না পাকিস্তান?' লগ্নজিতার গান থামানোয় বলল BJP

'জাগো মা' চলবে না। ধর্মনিরপেক্ষ নয়। নিদান মেহবুব মোল্লার। TMC নেতার শাসানিতে থামল লগ্নজিতার গান। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বাংলার সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা। অভিযোগ, ‘জাগো মা’ গান গাওয়ার 'অপরাধে' মঞ্চেই হেনস্তার শিকার হন শিল্পী। 

Advertisement
'এটা বাংলাদেশ না পাকিস্তান?' লগ্নজিতার গান থামানোয় বলল BJPঅভিযোগ, ‘জাগো মা’ গান গাওয়ার 'অপরাধে' মঞ্চেই হেনস্তার শিকার হন শিল্পী। 
হাইলাইটস
  • TMC নেতার শাসানিতে থামল লগ্নজিতার গান।
  • পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বাংলার সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা।
  • অভিযোগ, ‘জাগো মা’ গান গাওয়ার 'অপরাধে' মঞ্চেই হেনস্তার শিকার হন শিল্পী। 

Lagnajita Chakraborty Controversy: 'জাগো মা' চলবে না। ধর্মনিরপেক্ষ নয়। নিদান মেহবুব মোল্লার। TMC নেতার শাসানিতে থামল লগ্নজিতার গান। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বাংলার সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা। এ যেন ঠিক পড়শি দেশেরই প্রতিচ্ছবি! অভিযোগ, ‘জাগো মা’ গান গাওয়ার 'অপরাধে' মঞ্চেই হেনস্তার শিকার হন শিল্পী। লগ্নজিতা ‘জাগো মা’(দেবী চৌধুরানী সিনেমার গান) গাওয়াতে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন মেহবুব মোল্লা ও তাঁর অনুগামীরা। গান থামতেই স্টেজে উঠে রীতিমতো মারতে আসেন বলে অভিযোগ শিল্পীর। যদিও কয়েকজন তাঁকে ধরে ফেলে বিষয়টি সামাল দেন। সেই সময় মঞ্চ থেকে নামতে নামতে মেহবুব বলেন, 'অনেক জাগো মা হয়েছে, এবার একটু সেকুলার গা'। লগ্নজিতার দাবি, তাঁর চিৎকার মাইক্রোফোনেও শোনা গিয়েছিল।

এরপরই অপমানিত ও নিরাপত্তাহীন বোধ করেন শিল্পী। অনুষ্ঠান থামিয়েই কলকাতায় ফিরে যেতে বাধ্য হন লগ্নজিতা ও তাঁর সহযোগীরা। তবে তার আগে যে থানায় অভিযোগ জানাবেন, তাও জানিয়ে যান মঞ্চ থেকেই। 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসকদলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে শানিয়েছে বিজেপি। ভগবানপুর থানার ওসি শাহজাহান হক কী করছিলেন? প্রশ্ন শঙ্কুদেব পাণ্ডার। অভিযোগ, প্রথমে পুলিশ এফআইআর নিতে অস্বীকার করে। শুধু জিডি নেয়। এমনকি অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি ‘মিটিয়ে নেওয়ার’ জন্যও শিল্পীকে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। মেহবুব মোল্লার বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, যে স্কুলের মাঠে লগ্নজিতার অনুষ্ঠান হচ্ছিল, তারও মালিক এই মেহবুব।

শঙ্কুদেব পাণ্ডা আরও বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে চাই, এটা বাংলাদেশ না পাকিস্তান? বাংলার একাংশ জিহাদিদের হাতে চলে গিয়েছে। থানাও অভিযোগ নেয়নি।'

‘ধর্ম ও ভয়ের রাজনীতি’
পদক্ষেপ নিতে জেলা পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা এবং রাজ্য সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিজেপি। বৃহত্তর আন্দোলন ও আইনি পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। বিজেপির বক্তব্য, শুধু গান থামানো হয়েছে ভাবলে চলবে না। এটি শিল্পীর স্বাধীনতা ও বাংলার সংস্কৃতিতে ‘ধর্ম ও ভয়ের রাজনীতি’ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।

Advertisement

পুলিশ কী বলছে?
পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিঠুন দে জানান, ভগবানপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মেহবুব মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বাংলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে গান গাইতেও কি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুমতি প্রয়োজন? জোর করে কি ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র সংজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এই ঘটনায় রাজ্যে শিল্পীদের নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

POST A COMMENT
Advertisement