৭৭ বছর বয়সে এসে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন লক্ষ্মণ শেঠ। ফের বিয়ে করলেন বর্তমান কংগ্রেস তথা প্রাক্তন সিপিআইএম-এর এই নেতা (Laxman Seth Marriage)। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম মানসী দে, বয়স ৪২। জানা গিয়েছে, ২৪ জুন লক্ষ্মণ শেঠ প্রীতিভোজের আয়োজন করেছেন। সেদিনই ধর্মীয় রীতি মেনে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন লক্ষ্মণ ও মানসী।
বিগত কয়েকদিন ধরেই হলদিয়ায় কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, আবার নাকি বিয়ে করেছেন সিপিএম-এর একসময়ের দর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। যদিও কেউ কেউ আবার খবরটিকে গুজব বলেই মনে করছিলেন। তবে এবার সব জল্পনার অবসান ঘটালেন লক্ষ্মণ শেঠ নিজেই। সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, কয়েকদিন আগেই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণের দ্বিতীয় স্ত্রী মানসী দে কলকাতার একটি নামী হোটেলে উচ্চপদে কর্মরত।
প্রসঙ্গত, বাম আমলে তিনবার সাংসদ হয়েছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। কিন্তু ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন তৎকালীন দাপুটে এই সিপিআইএম নেতা। রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৪ সালে লক্ষ্মণকে বহিষ্কার করে সিপিএম। এরপর নিজের একটি দল গঠন করেন তিনি। যদিও পরে নিজের তৈরি দল ছেড়েই বিজেপিতে যোগ দেন লক্ষ্মণ শেঠ। ২০১৮ সালে বিজেপিও তাঁকে বহিষ্কার করে। এরপর ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি।
লক্ষ্মণ শেঠের প্রথম স্ত্রী ছিলেন তমালিকা পণ্ডা শেঠ। ১৯৭৯ সালে তমালিকার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ১৯৯৭ সালে হলদিয়া পুরসভার চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন তমালিকা। সিপিআইএম লক্ষ্মণকে বহিষ্কারের পর দল ছাড়েন তমালিকাও। ২০১৫ সালে স্বামীর তৈরি দলেই যোগ দেন। তবে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগে ২০১৬ সালে মৃত্যু হয় তমালিকার। তারপর থেকেই একাকিত্বে ভুগছিলেন তিনি। সেই একাকিত্ব কাটাতেই এবার নতুন করে ঘর বাঁধলেন লক্ষ্মণ।
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্মণ শেঠ জানান, কয়েকদিন আগে এক বন্ধুর মাধ্যমে মানসীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর৷ কয়েকদিনের আলাপেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন - কফিনে ফুল-ভিতরে গাঁজা, শিলিগুড়িতে STF-এর হাতে গ্রেফতার ৪ পাচারকারী