Load Shedding: তীব্র গরমে ‘লাগামছাড়া’ লোডশেডিং। এ যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’! গত দিন দশেক ধরে এ রাজ্যে ক্রমশ চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই প্রচন্ড তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা। প্যাচপ্যাচে গরমে ঘামে ভিজে নাকাল সাধারণ মানুষ।
তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখন ৪০-৪২ ডিগ্রি পেরিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে লোডশেডিং। প্যাচপ্যাচে গরমে ঘণ ঘণ লোডশেডিং দম বন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করছে। প্রচণ্ড গরমের দোসর লাগামছাড়া লোডশেডিং। দুর্ভোগের জোড়া ফলায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: লিটারে প্রায় ৫০ টাকা কমল সর্ষের তেলের দাম, আরও কমবে?
দিনের মধ্যে পাঁচ-ছয় দফায় প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষকে। মাত্রাছাড়া গরমে অহরহ লোডশেডিংয়ের ঠেলায় অতিষ্ঠ মানুষ বেশ কিছু জেলায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। ঘণ ঘণ কেবল ফল্ট-ট্রান্সফরমারের ত্রুটির জেরে লোডশেডিংয়ের ঠেলায় বিরক্ত হয়ে, প্রতিবাদে পথে নামতে বাধ্য হচ্ছেন রাজ্যের মানুষ।
শুধু গ্রামে-গঞ্জেই নয়, খাস কলকাতাতেও দিনের মধ্যে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা কারেন্ট থাকছে না। গত ৩-৪ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এই ভোগান্তির মধ্যেই মঙ্গলবার, রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস CESC আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যাপ্ত ট্রান্সফর্মার, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডি জি সেটের ব্যবস্থা রাখতে CESC-কে নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। কেবল ফল্ট-ট্রান্সফরমারের ত্রুটির ক্ষেত্রে সর্বত্র পর্যাপ্ত সংখ্যক বিদ্যুৎকর্মী তৈরি রাখতে হবে।
শুধু CESC নয়, পাশাপাশি, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের এলাকায় কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে, লোডশেডিং হলে তা জানানোর জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ (WBSEDCL)। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কন্ট্রোল রুমের দুটি নম্বর যথাক্রমে 8900793503 এবং 8900793504।