scorecardresearch
 

Darjeeling Bimal Gurung: পাহাড়ে BJP-র ভোট কমবে, রাজুর পাশে দাঁড়িয়েই তাত্‍পর্যপূর্ণ দাবি গুরুংয়ের

Darjeeling Bimal Gurung: ২০১৭ সালে পাহাড়ে জিটিএ ত্যাগ করে ধারাবাহিক হিংসার সময় থেকে দাপট কমছিল বিমলদের। প্রায় ২ বছর একাধিক মামলায় জড়িয়ে পালিয়ে থাকার সময়ই পাহাড়ের কতৃত্ব হাতছাড়া হয়। তাঁর অনুপস্থিতিতে পাহাড়ের রাশ তুলে নেন তাঁরই একদা দুই সঙ্গী বিনয় তামাং, অনিত থাপারা। 

Advertisement
পাহাড়ে BJP-র ভোট কমবে, রাজুর পাশে দাঁড়িয়েই তাত্‍পর্যপূর্ণ দাবি গুরুংয়ের পাহাড়ে BJP-র ভোট কমবে, রাজুর পাশে দাঁড়িয়েই তাত্‍পর্যপূর্ণ দাবি গুরুংয়ের

Darjeeling Bimal Gurung: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সরকারিভাবে বিজেপিকে পাহাড়ে সমর্থন করবেন বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। দলগতভাবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এনডিএ জোটের সঙ্গে আছেন। এক অর্থে তাঁর এনডিএ-তে (NDA) প্রত্যাবর্তন হল বলা যায়। বিমলের দাবি ছিল, গতবারের মতো এবারও তাঁরা রাজু বিস্তাকে (BJP Candidate Rahu Bista) জয়ী করে সংসদে পাঠাবেন। কিন্তু এরপরই নিজের অনুগামীদের একাংশের সমর্থন হারান বিমল। তার কারণ তিনিই কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিজেপির চূড়ান্ত সমালোচক ছিলেন। ফের কী হল, যে তিনি বিজেপিকে সমর্থন করলেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁর দীর্ঘদিনের কিছু অনুগামী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরই সুর নরম করেন বিমল।

তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, আলাদা রাজ্যের পক্ষে কথা না বললে, বিজেপি বা বিজেপিপ্রার্থী রাজুবাবুর সঙ্গে থাকবেন না। যদিও তাতেও ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়নি। এবার প্রকাশ্যে সভায় রাজুবাবুর দাবিকে খণ্ডন করে হইচই ফেলে দিলেন পাহাড়ের একদা একচ্ছত্র সম্রাট। 

কংগ্রেসের (Congress) প্রশংসা করেছিলেন কিছুদিন আগেই। মনে করা হচ্ছিল লোকসভা নির্বাচনে এবার কংগ্রেসকে সমর্থন দেবেন। বলেছিলেন, পাহাড়ে যা উন্নয়ন হয়েছে কংগ্রেসই করেছে। বিজেপি কোনও উন্নয়ন করেনি। তারও আগে ২ বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে কথা রাখেনি বলে অভিযুক্ত করে তৃণমূলের (TMC) হাত ধরে পাহাড়ে ফিরে এসেছিলেন।

আরও পড়ুন

রবিবার দার্জিলিঙে বিজেপির সভামঞ্চে বিমল গুরুংকে জয় গোর্খা বলে স্লোগান দিতেও দেখা যায়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গুরুং সাফ জানান, ‘‘তৃণমূল আমাদের দাবির ব্যাপারে কোনও রকম পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা এবার বিজেপিকে সমর্থন করছি।’’ কিন্তু বিজেপিও যদি গোর্খাল্যান্ড দাবির ব্যাপারে কোনও রকম পদক্ষেপ না নেয় সেক্ষেত্রে বিজেপির ওপর থেকেও তাদের সমর্থন যে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে সে কথাও কার্যত স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন গুরুং। গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরেই পাহাড়ে সাংসদ বিজেপির। তারপরেও ভোটের মুখে এই বক্তব্যে দ্বিচারিতা দেখছে তৃণমূল।

Advertisement

অন্যদিকে রাজস্থান নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার পর থেকেই দাবি করে আসছেন তিনি এবার পাঁচ লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন। কিন্তু রবিবার বিমল করুন সভা থেকে সাত জানিয়েছেন তেমন সম্ভাবনা নেই। বরং ভোট আগের বারের চেয়ে বেশ খানিকটা কমবে। বিমলের ভবিষ্যৎবাণী তিন লক্ষ ব্যবধান যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে এই সংখ্যাটা আরও কমবে।

কী যুক্তি দিয়েছেন বিমল?
বিমল বলেন গত তিন বছরে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ভেঙ্গে একাধিক খণ্ড হয়ে পাহাড়ে আলাদা দল গড়েছে, যার ফলে সার্বিক ক্ষমতা কমেছে। জন মুক্তি মোর্চার পাশাপাশি বিজেপিরও কার্শিয়াং এলাকায় বেশ খানিকটা সংগঠন শিথিল হয়েছে। তাদেরই বিধায়ক নির্দল থেকে দাঁড়িয়ে পড়ায় ফলে এখন জয়টাই বড় কথা। অন্যদিকে বিমল বিজেপিকে সমর্থন করায় একদা তাঁর ছায়াসঙ্গী বন্দনা রাইও নির্দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তবে তাঁরা জিতবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

 

Advertisement