মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) রাজনৈতিক জীবনে অন্যতম মাইল ফলক সিঙ্গুর (Singur)। কারণ সেখান থেকেই রাজ্যে পালাবদলের বীজটা বপন হয়ে গিয়েছিল, যা পূর্ণ রূপ রায় ২০১১ সালে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের একবার সেই সিঙ্গুরের মাটিতেই পা রাখতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৮ মার্চ সিঙ্গুরে যাওয়ার কথা তিনি। সেখান থেকেই পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। এছাড়া সিঙ্গুরের রতনপুরে একটি সভা করারও কথা রয়েছে মমতার।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের খবরকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সাজসাজরব গোটা সিঙ্গুরজুড়ে। কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। যে জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার কথা, সেখানে চলছে পরিদর্শনের কাজ। বৃহস্পতিবার সকালে রতনপুরের সভাস্থল ঘুরে দেখলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া, হুগলি জেলা গ্ৰামীন পুলিশ সুপার আমন দীপ-সহ জেলার একাধিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। সভাস্থলের পাশাপাশি গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শুরু হয়েছে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি। আর সেই কর্মসূচিতে গিয়ে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের। কোথাও উঠেছে বেহাল রাস্তা সাড়াইয়ের দাবি, তো কোথাও আবার পাকা রাস্তা তৈরির দাবি। যদিও রাজ্যের দাবি, বিভিন্ন গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। সে কারণেই এবার নিজেদের তহবিল থেকে রাস্তা সারাইয়ে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। গ্রামীণ এলাকায় রাস্তার সমস্যা সমাধানের পথ দেখাবে রাজ্য সরকারের এই পথশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হবে প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই গ্রামীণ রাস্তাগুলির হাল ফিরলে তার প্রভাব দেখা যেতে পারে ভোটবাক্সে। সেক্ষেত্রে দেখার এই পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে ভোটের ময়দানে আদৌ কোনও সুবিধা করতে পারে কি না শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে দেখার পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিঙ্গুর থেকে কী বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুয়া - 'এখনও নিজে হাতে কাপড় কাচেন', শুভেন্দুর বিমান-স্তুতিতে মহাজোটের ডাক