সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফল (Sagardighi By Election 2023 Result) নিয়ে ফের একবার কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে নিশানা করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আক্রমণ করতে ছাড়লেন না বিজেপি-সিপিএম-কেও। রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ফোনে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, "সাগরদিঘিতে অনৈতিক লড়াই করেছে। লোকটা কার? বিজেপির। প্রার্থী কংগ্রেসের। সমর্থন দিল সিপিএম। আসলে অধীর চৌধুরী আরএসএসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে"। মমতা আরও বলেন, "তৃণমূলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। সাগরদিঘিতে টাকার খেলা চলেছে"। তিনি আরও বলেন, "গোটা জেলা জুড়ে একটা চক্রান্ত চলছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে"। এমনকী কেন্দ্রীয় স্তরেও বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলেন তিনি।
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর পাল্টা জবাব দেয় কংগ্রেস (Congress), সিপিএম (CPIM),বিজেপি (BJP)। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "বিজেপির সঙ্গে জোট করে বাংলায় কে এনেছিল তা সবাই জানে। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার জোট করে বাংলায় বিজেপিকে লোকসভা আসন পেতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। এখন তো বিজেপি বিরোধী জোটকে দুর্বল করার কাজ করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিনিয়ত সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন। তাঁর একটাই লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সন্তুষ্ট করা। নিজের পরিবারকে বাঁচাতে এখন তিনি মোদীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন"।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) পাল্টা জবাব দেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "যিনি সারা জীবন নীতি-নৈতিকতার ধারে কাছে যাননি তিনি এখন আমাদের নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দেবেন? আসলে তাঁর দলের নানা অনৈতিক কাজের জন্যই তো সাগরদিঘির মানুষ তাঁদের ভোট দেননি"। পাশাপাশি বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া, "যে সংখ্যালঘু ভোটকে নিজেদের সম্পত্তি ভেবে নিয়েছিলে মুখ্যমন্ত্রী, তা হাতছাড়া হতেই মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের আক্রমণ করছেন। কিন্তু সাগরদিঘির ভোট কেন অপর দিকে চলে গিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখলে তৃণমূল নেতাদের কুকীর্তিই সামনে আসবে"।
আরও পড়ুন - বুধ-গুরু-সূর্যের বিরল মিলন, এই মাসে ৩ রাশির সাফল্য কেউ রুখতে পারবে না