scorecardresearch
 

রাজ্যের কোথায় কোথায় বারাণসীর ধাঁচে গঙ্গা আরতি? বাবুঘাটে যা জানালেন মমতা

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পুরো পরিকল্পনা সেরে নিয়ে এগনো হবে। যাঁরা আরতি করবেন তাঁদের অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে'। তিনি বলেন, 'আমরা চাইব আগামিদিনে দক্ষিণেশ্বর ঘাটে হোক, বেলুড়মঠে হোক, তারাপীঠে হোক, কালীঘাটে একটা পুষ্করিণী আছে, যেখানে যেখানে সুযোগ আছে হোক।'

Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা
  • পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
  • গঙ্গা আরতি নিয়েও বললেন বেশকিছু কথা

'কলকাতায় সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করা হবে। বারাণসীর ধাঁচে কলকাতায় গঙ্গা আরতির কথা বলেছিলাম। আগামিকাল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। আগামিকাল থেকেই পুরসভাকে বলবো কাজ শুরু করতে। বড় লাইটের ব্যবস্থা করতে হবে'। বুধবার বাবুঘাটে গঙ্গাসাগর মেলার অনুষ্ঠানে এসে এমনটা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'পুরো পরিকল্পনা সেরে নিয়ে এগনো হবে। যাঁরা আরতি করবেন তাঁদের অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে'। তিনি বলেন, 'আমরা চাইব আগামিদিনে দক্ষিণেশ্বর ঘাটে হোক, বেলুড়মঠে হোক, তারাপীঠে হোক, কালীঘাটে একটা পুষ্করিণী আছে, যেখানে যেখানে সুযোগ আছে হোক।'

কুম্ভমেলার প্রসঙ্গ উত্থাপন

একইসঙ্গে এদিন গঙ্গাসাগরের ( Gangasagar Mela 2023) পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছাও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আগে গঙ্গাসাগরে কিছু ছিল না। আমার ফের বানিয়েছি। গঙ্গাসাগরে নতুন মন্দির, গেস্ট হাউস, ৩টি হেলিপ্যাড, লাইটিং, অতিথি নিবাস, থাকার জায়গা হয়েছে। ১২০০ বায়ো টলেট হয়েছে'। তিনি আরও বলেন, আমার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও খুব ভাল রেখেছি। জলের ব্যবস্থা রয়েছে। বড় বড় তাঁবু রয়েছে। হোগলার অস্থয়ী ঘর রয়েছে। এরকম অনেক কাজ হয়েছে। নিজেরাই গিয়ে দেখবেন'। এক্ষেত্রে কুম্ভমেলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, 'কুম্ভ জাতীয় মেলা, তাই তারা কেন্দ্র থেক ফান্ড পায়। কুম্ভ রেলপথের সঙ্গেও যুক্ত। কিন্তু গঙ্গাসাগর প্রান্তিক এলাকায়, তাই রেলপথের সঙ্গে যুক্ত নয়'।

পুণ্যার্থীদের জন্য বিমা

পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '৭ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে কোনও অঘটন ঘটলে প্রত্যেকের জন্য আগে থেকেই ৫ লক্ষ টাকা করে বিমা করে রাথা হয়েছে। প্রায় লক্ষ পুলিশ থাকে। ভারত সেবাশ্রম সংঘ,রামকৃষ্ণ মিশন অনেক কাজ করে। স্থানীয়রাও অনেক কাজ করেন। কোনও তাড়াহুড়ো করবেন না। কেউ কিছু বললে বিশ্বাস করবেন না। মেলায় ২৪ ঘণ্টা সরকারি মাইক চলে। সরকারি মাইকে সমস্ত তথ্য পাবেন। সবাই শান্তভাবে যাবেন এবং শান্তিতে ঘুরে আসবেন'।

Advertisement

আরও পড়ুন - মকরে জয়দেব যাচ্ছেন? পুণ্যস্নান সেরে ঘুরে নিন এই জায়গাগুলিও

 

Advertisement