আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই পৌষ (Poush Sankranti 2023) তথা মকর সংক্রান্তি। আর মকর সংক্রান্তি মানেই বীরভূমের অজয় নদের তীরে জয়দেব কেন্দুলি মেলা (Joydev Kenduli Mela)। মকর সংক্রান্তিকে (Makar Sankranti 2023) কেন্দ্র করে একদিকে যেমন অজয়ে চলে পুণ্যস্নান ও কবি জয়দেবের মন্দিরে পুজোপাঠ, অন্যদিকে তেমনই এই উপলক্ষে ভিড় জমান বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের বাউল ফকির শিল্পীরা। দোতারা ও বাউলের সুরে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে অজয়ের তীর, যা শুনতে ভিড় জমান কাতারে কাতারে মানুষ। যদিও করোনার কারণে গত দুবছর সেই আনন্দে ছেদ পড়ে। তবে এবছর জয়দেব কেন্দুলি মেলায় পুরনো ছবিই দেখা যাবে বলে আশা পর্যটকদের।
সবচেয়ে বড় কথা, দূরদূরান্ত থেকে যাঁরা এই সময় জয়দেবে মেলা দেখতে যান, তাঁরা চাইলে আশেপাশের আরও কয়েকটি পর্যটনস্থলও ঘুরে দেখতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, জয়দেবে মেলা থেকে নিকটবর্তী আর কোন কোন জায়গা ঘুরে দেখা যায়।
গড় জঙ্গল (Garh Jungle Durgapur) - কেন্দুলি মেলা যেখানে বসে, তার ঠিক উল্টো দিকে, অর্থাৎ অজয় নদের অপর পাড়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার এক প্রান্তে অবস্থিত গড় জঙ্গল। কেন্দুলি মেলা দেখে ফেরার পথে এই জায়গাটি ঘুরে দেখে নিতে পারেন। এই জঙ্গলে রয়েছে মা শ্যামরূপার মন্দির। এছাড়াও রয়েছে একটি আশ্রম। শোনা যায় এই আশ্রমেই প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন রাজা সুরথ। পাশাপাশি রয়েছে ইছাই ঘোষের মন্দির। তাছাড়াও রয়েছে একটি পার্ক। সব মিলিয়ে মেলার পাশাপাশি গড় জঙ্গল ঘুরে দেখতে বেশ ভালই লাগবে।
দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur DVC Barrage) - অনেকেই দুর্গাপুর হয়ে জয়দেব কেন্দুলিতে পৌঁছান। সেক্ষেত্রে জয়দেব থেকে ফেরার পথে দুর্গাপুরে দামোদর নদের ওপর তৈরি ডিভিসি ব্যারেজ এবং কুমার মঙ্গলম পার্কও ঘুরে দেখে নিতে পারেন। যদিও শীতকালে দামোদরের জল অনেকটা কম থাকে। তবুও লকগেট থেকে ছাড়া জলের স্রোত দেখতে মন্দ লাগবে না।
শান্তিনিকেতন (Bolpur Shantiniketan) - জয়দেব কেন্দুলি থেকে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। তাই ফেরার সময় হাতে সময় থাকলে ঘুরে দেখে নিতে পারেন কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত এই জায়গাটিও। যদিও বোলপুর-শান্তিনিকেতনে সারাবছরই পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে।
আরও পড়ুন - উচ্চমাধ্যমিকের সেন্টার নিয়ে বড় খবর, একাধিক নিয়মেও পরিবর্তন সংসদের