জাকির হোসেনকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। বিস্ফোরক দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বুধবার জাকিরের বাড়ি, অফিস ও কারখানা থেকে ১১ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করে আয়কর বিভাগ। তা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। সেই ইস্যুতেই এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি এদিন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির সভা থেকে বলেন, 'মনে রাখবেন জাকির একজন বিড়ি শিল্পপতি। ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। তাদের মাইনে কি ব্য়াঙ্কে দেবে? তোমরা সেটা চোখে দেখো না। কতজনের কাছে অ্যাকাউন্ট আছে ? কটা গ্রামে আছে ব্যাঙ্ক ?'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জাকির একজন ভালো মানুষ। ওকে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছিল। আমার দুর্ভাগ্য কোনও একজনকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এখানে। তিনি লাইন করে এখানে কোন লোকটা শক্তিশালী, তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছ সব। আমি বলি কারও বাড়িতে পাঠানোর আগে নিজের বাাড়িতে আগে সার্চ করান। ইডিকে দিয়ে করান। ইনকাম ট্যাক্সকে দিয়ে করান। তারপর তৃণমূলের লোকেদের বাড়িতে করবেন।
আরও পড়ুন : রাজ্যের ডিএ মামলায় 'এগিয়ে' সরকারি কর্মীরা, রায়ের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ ; কবে মিলবে বকেয়া ?
কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মীকে বঙ্গভবন থেকে গ্রেফতার করে নিয়েছে। আমি আমার মুখ্যসচিবকে বলব, বঙ্গভবন রাজ্য সরকারের সম্পত্তি। কেউ যদি বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে আমাদেরও আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে। গুজরাট পুলিশ সঙ্গে দিল্লি পুলিশকে এনে বঙ্গভবনের সমস্ত সিসিটিভি খুলে নিয়েছে। এই প্রশ্ন কেউ তুলবেন না।'
গত ১১ জানুয়ারি জঙ্গিপুরের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় আয়কর দফতর। তল্লাশিতে জঙ্গিপুরের বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার ১১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়।