Taslima On Mamata : মমতাও বামেদের পথ অনুসরণ করে আমায় বাংলায় ঢুকতে দেন না! বিস্ফোরক তসলিমা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একাধিকবার রাজ্যে থাকার অনুমতি চেয়েছি। তিনি থাকতে দেননি। আমার গল্প নিয়ে তৈরি সিরিয়াল বন্ধ করে দিয়েছেন। উনি সিপিএমের পথেই আমাকে ব্রাত্য করে চলছেন। আজতক বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক তসলিমা নাসরিন। বুদ্ধিজীবীদের চরিত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

Advertisement
মমতাও বামেদের পথ অনুসরণ করে আমায় বাংলায় ঢুকতে দেন না! বিস্ফোরক তসলিমাবিস্ফোরক তসলিমা
হাইলাইটস
  • পশ্চিমবঙ্গে বুদ্ধিজীবীরা নষ্ট হয়ে গিয়েছে
  • নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ ভারতে থাকতে দেওয়ার জন্য
  • মমতা আমাকে ঢুকতে দেয় না
  • আমাকে ভয় পায় মমতা

সিপিএম (cpim) আমাকে তাড়িয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mmamata bannerjee)আমাকে পশ্চিম বাংলায় ফিরতে দিচ্ছে না। নরেন্দ্র মোদীকে(Narendra Modi) ধন্যবাদ। আমাকে ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়ার জন্য। যতদিন বাঁচব ভারতে থাকতে চাই। আজতক বাংলা (AaJTAK bANGASL)কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে জানালেন বিস্ফোরক তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)।

গলাধাক্কা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

এদিন সিপিএমের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন, তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, আমি পশ্চিমবঙ্গে থাকতে, বাঙালি পরিবেশে থাকতে পছন্দ করি। তবু আমাকে গলাধাক্কা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

সিপিএমের বিরোধী মমতা, কিন্তু সিপিএমের তসলিমা তাড়ানোর সমর্থক

মমতা সিপিএমের বিরোধী। কড়া সমালোচক। সিপিএমের অন্যান্য অনেক কিছুই মেনে নিতে পারেননি। তা বদলে দিয়েছেন। কিন্তু সিপিএমের তসলিমা তাড়ানোর সিদ্ধান্তটি তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে। উনি আমাকে তো বটেই, আমার গল্প নিয়ে তৈরি হওয়া টিভি সিরিয়াল বন্ধ করিয়ে দিয়েছেন। তার হোর্ডিং লোক দিয়ে ছিঁড়ে দিয়েছেন। উনি আমাকে ভয় পান।

ইসলাম বিরোধী লেবেল থেকে বাঁচতে চান

তাঁর অভিযোগ, আসলে কারও গায়ে যখন ইসলামবিরোধী একটা লেবেল সাঁটিয়ে দেওয়া হয়, তখন অনেকে ক্ষুব্ধ হতে পারেন আশঙ্কায় কোনও সরকারই কোনও সম্প্রদায়কে চটাতে চায় না।

ছবি

পশ্চিমবাংলাতেও যা, বাংলাদেশেও তাই

পশ্চিমবাংলাতেও যা, বাংলাদেশেও তাই। বাংলাদেশের বেগম খালেদা জিয়ার সরকার আমাকে তাড়িয়েছিল। পরে সরকার পরিবর্তন হয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে এসেও আমাকে ফিরিয়ে নেননি। আসলে রাজনৈতিকদের চরিত্র সব জায়গায় এক। 

পশ্চিমবঙ্গের বুুদ্ধিজীবীরা আমাকে তাড়াতে কলকাঠি নেড়েছে

পশ্চিমবাংলায় আমার সেকেন্ড হোম। আমি এখানে খুব ভাল ছিলাম। ইউরোপ থেকে ফিরে বাংলায় বাঙালি লেখক এবং পরিবেশে পরিবেষ্টিত হয়ে লেখালেখির ক্ষেত্রে আমার সুবিধে হচ্ছিল। কিন্তু সে সময় যখন সিপিএম সরকার আমাকে তাড়িয়ে দিল, তখন বুদ্ধিজীবীরাও আমাকে সমর্থন করেননি। কেউ সরকারের কোনও সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেননি। বরং তাঁরা অনেকেই আমাকে তাড়াতে কলকাঠি নেড়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে বুদ্ধিজীবীরা নষ্ট হয়ে গিয়েছে

বরং বুদ্ধিজীবীদের একাংশ আমাকে তাড়ানোর পিছনে মদত দিয়েছিল। আসলে বুদ্ধিজীবীরা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একটা সমাজ তখন নষ্ট হয়, যখন বুদ্ধিজীবীরা নষ্ট হয়। তালিবানরা তো নষ্টই, রাজনীতিবিদরাও নষ্ট। কিন্তু সমাজ নষ্ট হয় বুদ্ধিজীবীদের নষ্টামিতে। আসলে উপঢৌকন, উপহারে সরকারের পক্ষে থাকলে অনেক সুবিধা লাভ করে তারা। তাই সরকারের ঠিক-বেঠিক সমস্ত সিদ্ধান্তকে তারা চোখ বন্ধ করে সমর্থন করে চলে।

Advertisement

মমতা আমাকে কোনওভাবেই ফিরতে দেবেন না

আমি কোনও মানুষ খুন করিনি, কোনও নির্যাতন করিনি। কোনও আইন ভাঙিনি। তা সত্ত্বেও আমাকে বের করে দেওয়া হল। সিপিএম বের করে দেওয়ার পর যখন পশ্চিমবঙ্গে সরকার পরিবর্তন হয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এল, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেকবার বলার চেষ্টা করেছি। ওঁর কথাবার্তা, হাবভাবেই যা বোঝার বুঝে গিয়েছি। উনি আমাকে ফিরতে দেবেন না।

নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ, ভারতে আজীবন থাকতে চাই

বরং কেন্দ্র সরকার ও নরেন্দ্র মোদীকে আমি ধন্যবাদ জানাব, আমাকে ভারতে থাকতে দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশ থেকে আমি ২৭ বছর বিতাড়িত। পশ্চিমবঙ্গেও ঢুকতে পারি না। অন্তত ভারতে থাকতে পারছি এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাব। আজীবন এখানে থাকতে চাই। আশা করছি এ সুযোগটুকু পাব।

 

POST A COMMENT
Advertisement