বাম আমলে জঙ্গলমহলে জাঁকিয়ে বসেছিল মাও আতঙ্ক। অনেক CPIM নেতাকে খুনও হতে হয়েছিল। ঘরছাড়া হয়েছিলেন তৎকালীন শাসকদলের বহু নেতা-কর্মী। তারপর ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে। কেটে গেছে এক দশকেরও বেশি সময়। ফের জঙ্গলমহলে মাও-ভীতি। এবার সেই মাও আতঙ্কে ভীত জঙ্গলমহলের কয়েকজন তৃণমূল নেতা।
বিশেষ করে বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে এই আতঙ্ক বেশি করে বাসা বেঁধেছে। সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার ৫ জন তৃণমূল নেতা ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরা চান, পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দিক। এই তালিকায় রয়েছেন, রানিবাঁধ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি চিত্ত মাহাতো। তাঁর একজন নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন। তারপরও নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি। পুলিশ সুপারের কাছে এই আবেদন করেছেন শাসক দলের নেতারা।
আরও পড়ুন : বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে কারা থাকবেন, বিনিয়োগ আসবে?
কেন নিরাপত্তার আবেদন জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা?
গত কয়েক মাসে জঙ্গলমহলে মাওবাদী তৎপরতা বেড়েছে বলে অভিযোগ। একাধিক জায়গায় মাও পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। ৮ এপ্রিল মাওবাদীদের ডাকা বন্ধে ভালো প্রভাবও পড়ে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায়। আর তারপর থেকেই জঙ্গলমহলের তৃণমূল নেতারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে খবর।
তবে নিজের দলের নেতারা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইলেও জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের উপস্থিতি কোনওভাবেই স্বীকার করতে রাজি নয় রাজ্যের শাসক দল। তাদের দাবি, সবই বিজেপির কারসাজি।
তবে সতর্ক পুলিশ। কয়েকদিন আগেই ১৫দিনের জন্য 'হাই অ্যালার্ট' জারি করা হয়েছে জঙ্গলমহলের মাওবাদী অধ্যুষিত সমস্ত থানা এলাকায়। ১৫ দিন সমস্ত পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নাশকতা এড়াতে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করছে পুলিশ প্রশাসন।
মাওবাদী পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য জঙ্গলমহল সফরে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যও। রবিবার তিনি বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় যান। সেখানকার পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।