scorecardresearch
 

Marichjhapi Massacre : 'মৃত্যুপুরী মরিচঝাঁপি' আজও তাড়া করে বামেদের

দেশভাগের পর বহু বাঙালি শরণার্থী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (East Pakistan) ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। তাঁদের মধ্যে একাংশ কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের আস্তানা নিশ্চিত করতে পারলেও, একটা বড় অংশকে দণ্ডকারণ্য, মূলত ওড়িষা ও মধ্যপ্রদেশে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। কিন্তু খাবার জলের অভাব ও রোগব্যাধীর প্রকোপসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে বাধ্য হয়ে ১৯৭৮ সালে সেই সমস্ত শরণার্থীরা বাংলার ফিরতে শুরু করেন।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • ১৯৭৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ঘটে মরিচাঝাঁপি হত্যাকাণ্ড
  • শরণার্থীদের ওপরে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে
  • ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে রয়েছে মতভেদ

২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতাচ্যূত হয়েছে বামফ্রন্ট। কিন্তু তারপরেও বামেদের পিছু ছাড়েনি লাল জমানার বেশকিছু ঘটনা, যার অন্যতম মরিচঝাঁপি হত্যকাণ্ড (Marichjhapi Massacre)। ভোটের ময়দান থেকে বিতর্ক সভা, সবেতেই বারেবারে মরিচঝাঁপি কাণ্ডের উত্থাপন করে বামেদের বিঁধেছে প্রতিপক্ষ, যা এখনও জারি। 

ঘটনার ইতিহাস

দেশভাগের পর বহু বাঙালি শরণার্থী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (East Pakistan) ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। তাঁদের মধ্যে একাংশ কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের আস্তানা নিশ্চিত করতে পারলেও, একটা বড় অংশকে দণ্ডকারণ্য, মূলত ওড়িষা ও মধ্যপ্রদেশে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। কিন্তু খাবার জলের অভাব ও রোগব্যাধীর প্রকোপসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে বাধ্য হয়ে ১৯৭৮ সালে সেই সমস্ত শরণার্থীরা বাংলার ফিরতে শুরু করেন। এদিকে তার ঠিক আগের বছর, অর্থাৎ ১৯৭৭ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে বামফ্রন্ট। বাম সরকার দণ্ডকারণ্য থেকে ফিরে আসা ওই শরণার্থীদের রাজ্যের বাসিন্দা হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং তাঁদের আটক ও বিতাড়িত করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও তারপরেও কিছু শরণার্থী পুলিশের চোখে ঝুলে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে সক্ষম হন। আর যাঁরা পারেননি তাঁরা মরিচঝাঁপিতে আশ্রয় নেন এবং নিজেদের উদ্যোগেই সেখানে চাষাবাদ করে বসবাস শুরু করেন। 

পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ

অভিযোগ, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর (Jyoti Basu) নেতৃত্বাধীন বাম সরকার মরিচঝাঁপিতে শরণার্থীদের সেই বসবাস মেনে নিতে পারেনি। যার জেরে তাঁদের উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফলস্বরূপ কোরানখালি নদীতে পুলিশি পাহারা বসানো হয়, যাতে মরিচাঝাঁপির শরণার্থীরা ওষুধসহ জীবন ধারণের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিনতে পার্শ্ববর্তী কুমরখালি গ্রামে যেতে না পারেন। অভিযোগ, এরপর ১৯৭৯ সালের ৩১ জানুয়ারি দুপুর বেলা মরিচঝাঁপি দ্বীপে ঢুকে বাম সরকারের পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এমনকি গুলিতে যাঁদের মৃত্যু হয় তাঁদের দেহও নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাছাড়া পুলিশের গুলি থেকে বাঁচতে সাঁতরে পালাতে গিয়েও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল বলে শোনা যায়। 

Advertisement

মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মতভেদ

ওই ঘটনায় ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছিল তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। সরকারে (Left Front Government) তরফে দাবি করা হয়েছিল, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। তবে ঘটনার বেশকয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য আরও কিছু সূত্রে দাবি অনুযায়ী, সংখ্যাটি ছিল আরও অনেক বেশি। আর তারপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ৪৩ বছর। কিন্তু সেই ঘটনা আজও বামেদের তাড়া করে বেড়ায় বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। 

আরও পড়ুন - ২ মিনিটেই এই গাড়ি আকাশে ওড়ে-১৭০কিমি/ঘণ্টায়! ছাড়পত্র মিলল এই দেশে


 

Advertisement