কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন, বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া সকেট বোমায় মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া তামান্না খাতুনের। পাঁচ দিন পর, শনিবার (২৮ জুন) তামান্নার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা নেতৃত্ব।
তামান্নার পরিবারের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন সেলিম ও মীনাক্ষী। তাঁদের দাবি, এই মৃত্যু কেবল দুর্ঘটনা নয়, 'রাজনৈতিক সন্ত্রাস' ফল। তামান্নার খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা। অন্যথা বৃহত্তর আন্দোলনের দাবি করেন তিনি।
তামান্নার মা জানান, 'আমি মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চাই। যারা ওকে মেরে ফেলল, তাদের যেন চরম শাস্তি হয়।' এদিন সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বারবার কেঁদে ফেলছিলেন তিনি। তাঁকে সান্ত্বনা দেন সেলিম-মীনাক্ষীরা।
গত ২৩ জুন কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বড়চাঁদঘর মোলান্দি এলাকায় বিজয় মিছিল থেকে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। সেই বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয় ১০ বছরের তামান্না। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ, তৃণমূলের মিছিল থেকেই বোমা ছোড়া হয়েছিল। যদিও শাসক দল সেই অভিযোগ মানতে নারাজ। তামান্নার পরিবার এলাকায় সিপিএম সমর্থক হিসাবে পরিচিত।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। জেলার বহু এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করে বামপন্থীরা। শনিবারের সাক্ষাতের পর সেলিম তামান্নার মৃত্যুর ন্যায়বিচার চান।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। এদিন সিপিএম নেতৃত্ব পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। পড়ুন: Kaliganj Child Murder: কালীগঞ্জে তামান্না খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত গাওয়াল, ধৃত বেড়ে ৯
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও এদিন তামান্নার মৃত্যুর ন্যায়বিচারের দাবি করেন। তিনি এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে উল্লেখ করেন।
সংবাদদাতা- সুরজিৎ দাস