একদা বাংলা রাজনীতিতে তিনি ছিলেন দাপুটে নেতা। তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বিশ্বস্ত সৈনিক' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরে সেই তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম বার জয়ী হয়েই বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটে। আর তার পর পরই রাজনীতির ময়দান থেকে 'ভ্যানিশ' হয়ে যান মুকুল রায়। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুঁদে রাজনীতিক। এখন কেমন আছেন? খোঁজ নিল bangla.aajtak.in।
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বাড়িতে পড়ে গিয়ে চোট পান মুকুল। তারপর থেকেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। অস্ত্রোপচারও করা হয় তাঁর। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে রয়েছেন একদা তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'। এখন কেমন আছেন রাজ্য রাজনীতির 'চাণক্য'?
bangla.aajtak.in-এ মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানালেন, 'এখনও আইসিইউতে রয়েছে। কোনও উন্নতি নেই। একইরকম রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, সময় লাগবে। কোনও সেন্স নেই। খুব ডাকলে হয়তো চোখটা একটু খোলে। কিন্তু কোনও সেন্স নেই।'
জুলাই মাসের শুরুতে বাড়ির বাথরুমের সামনে পড়ে গিয়েছিলেন মুকুল। তাঁর মাথায় রক্তপাত হয়। তারপরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তাঁর। সেই সময় একথা জানিয়েছিলেন পুত্র শুভ্রাংশু। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ মুকুল। গত বছর মার্চ মাসে মুকুলের মাথায় অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল। সেই সময় তাঁর মস্তিষ্কে একটি চিপ বসানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল।
একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন মুকুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্য়ন্ত আস্থাভাজন হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। সেই মুকুলই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পদ্ম শিবিরে সক্রিয় রাজনীতিক হিসাবে কাজ করেছিলেন মুকুল। ২০২১ সালে তিনি বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার লড়ে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে জয়ী হন। কিন্তু নির্বাচনের ফল ঘোষণার কিছু দিনের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল। তারপর থেকেই অসুস্থতার কারণে আর সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি মুকুলকে। বেশ কয়েকবার তাঁর কিছু 'অসংলগ্ন মন্তব্য' প্রকাশ্যে আসে। মুকুলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, পত্নীবিয়োগের পর থেকেই মুকুল অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন।