চেন্নাই থেকে বিমানে কলকাতায় আনা হল তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের মরদেহ। বুধবার দেহ নিয়ে কলকাতায় পৌঁছান মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়। আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বিমান থেকে কফিনবন্দী দেহ নামানোর পর তা শববাহী গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় কাঁচরাপাড়ায়। সেখানেই শেষকৃত্য কৃষ্ণা রায়ের।
প্রসঙ্গত গত মে মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়। ফুসফুসেও গুরুতর সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। যার জেরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। দেওয়া হয় একমো সাপোর্ট। এরপর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই গতকাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কৃষ্ণা রায়ের মৃত্যু পরেই তাঁর উদ্দেশ্যে শোকবার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতানেত্রীর।
প্রসঙ্গত মুকুল রায়ের স্ত্রী যখন কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সেই সময় তাঁকে দেখতে যাওয়াকে কেন্দ্র করেও রাজনৈতিক জলঘোলা হয় রাজ্যে। হঠাৎই মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে যান তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বিজেপিতেই ছিলেন মুকুল। আর অভিষেক দেখতে যাওয়ার কিছু পরেই কৃষ্ণা রায়কে দেখতে যান দিলীপ ঘোষও। এমনকী ঠিক তারপরের দিনই মুকুলকে ফোন করে তাঁর স্ত্রীয়ের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে থাকে দলের এত গুরুত্বপূর্ণ নেতা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর স্ত্রীয়ের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এতটা বিলম্ব কেন করল নেতৃত্ব? যদিও তার কিছুদিন পরেই অবশ্য পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে ফেরেন মুকুল রায়।