scorecardresearch
 

কল্যাণীত CPIM পরিচালিত ভবনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ব্যাপক শোরগোল

কল্যাণীর হরেকৃষ্ণ কোঙার সমাজ বিজ্ঞান কেন্দ্রে রবিবার বসে অনুকূল ঠাকুরের দীক্ষাদান অনুষ্ঠান ও হরিনাম সংকীর্তনের আসর। বিনা ভাড়াতেই ওই হল ব্যবহার করেন আয়োজকরা। আর সেই কথা নিজেরা জানিয়েছেনও তাঁরা।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • সিপিএম পরিচালিত ভবনে দীক্ষাদান অনুষ্ঠান
  • তোলপাড় কল্যাণীজুড়ে
  • সাফাই ট্রাস্টি বোর্ডের

সিপিআইএম (CPIM) পরিচালিত হরেকৃষ্ণ কোঙার সমাজ বিজ্ঞান কেন্দ্রে অনুকূল ঠাকুরের দীক্ষাদান অনুষ্ঠান ও হরিনামের আসর। আর সেই ঘটনাকে ঘিরেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গেলে রাজনৈতিকমহলে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণীতে (Nadia Kalyani)। যদিও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কথা অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। 

জানা গিয়েছে, কল্যাণীর হরেকৃষ্ণ কোঙার সমাজ বিজ্ঞান কেন্দ্রে রবিবার বসে অনুকূল ঠাকুরের দীক্ষাদান অনুষ্ঠান ও হরিনাম সংকীর্তনের আসর। বিনা ভাড়াতেই ওই হল ব্যবহার করেন আয়োজকরা। আর সেই কথা নিজেরা জানিয়েছেনও তাঁরা। পাশাপাশি এলাকায় খোঁজ নিয়েও খানিকটা তেমনই জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, অনেকদিন ধরেই বিয়ে, অন্নপ্রাশন-সহ বিভিন্ন ঘরোয়া অনুষ্ঠানের জন্য কেউ চাইলে ওই ভবন ব্যবহার করতে দেওয়া হয় ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে। আর বিনামূল্যে‌ই সেটি ব্যবহার করতে দেন নদিয়ার সিপিআইএম নেতারা। তবে এবার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আসর বসায়, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জলঘোলা।

যদিও হরেকৃষ্ণ কোঙার সমাজ বিজ্ঞান কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক তথা প্রাক্তন সাংসদ অলোকেশ দাস অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র খাওয়াদাওয়ার জন্যই ঘর ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।

তারাপীঠে গিয়েছিলেন সুভাষ চক্রবর্তী

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকবছর আগে একবার তারাপীঠে গিয়েছিলেন প্রয়াত সিপিআইএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তী (Subhas Chakraborty)। ঘোষিত 'নাস্তিক' দলের নেতার এহেন কাজে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিকমহলে। যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল জ্যোতি বসুকেও (Jyoti Basu)। যদি জ্যোতি বসু সেই সময় উত্তর দিয়েছিলেন, "সুভাষের মনে মৃত্যু-ভয় ঢুকেছে"। তারপর থেকে মাঝের এই সময়টায় রাজ্যের রাজনৈতিক চিত্রে অবশ্য অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। সেক্ষেত্রে দেখার, এখন এই বিষয়ে কী অবস্থান নেয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। 

সমালোচনায় তৃণমূল

Advertisement

এদিকে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কল্যাণী পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সিপিএম নেতারা মুখে বলেন এক, কাজে করেন আর এক। সিপিএমের একটা অংশ ধর্মীয় রাজনীতি করছে। ওই জায়গায় পার্টি অফিস করার ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা থাকায় হরেকৃষ্ণ কোঙার সমাজবিজ্ঞান কেন্দ্র নামে ওই জমিটা নিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু আখেরে সেটি সিপিএমের পার্টি অফিসই। ওই ভবনেই সিপিএমের যাবতীয় মিটিং হয়। সেই পার্টি অফিসে এখন দীক্ষাদান হয়েছে, কাল কীর্তন হবে। পরশুদিন রামপুজোও হতে পারে।" 

আরও পড়ুন - নবদম্পতিরা মেনে চলুন এই ৫ টিপস, বিবাহিত জীবন হবে চিরসুখের

 

Advertisement