প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন বাংলার একাধিক বিজেপি সাংসদ। গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার মধ্যে বৈঠক হয়। তারপর থেকেই শুরু হয় মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনা। আর সেই জল্পনা আরও জোরালো হয় গতকালের বৈঠকের পর। সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধেবেলা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, রাজনাথ সিংদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
সূত্রের এও দাবি, এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে আলোচনা করে বিজেপি নেতৃত্ব। মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে কে কে মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
বাংলা থেকে কে কে মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন? সূত্রের খবর, তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম। প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষের নাম অনেক আগে থেকেই ঘোরাফেরা করছিল। যদিও মেদিনীপুরের সাংসদ জানিয়েছিলেন, তিনি মন্ত্রী হতে চলেছেন এমন কোনও খবর তাঁর জানা নেই।
এছাড়াও লকেট চট্টোপাধ্যায়, বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক, আলিপুরদুয়োরের জন বার্লা ও বনগাঁয় শান্তনু ঠাকুরের নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এঁদের মধ্যে দু'এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন।
দিলীপ ঘোষ: রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে দিলীপ ঘোষের মন্ত্রিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, তাঁর নেতৃত্বেই রাজ্যে ১৮টি লোকসভা আসন পেয়েছিল বিজেপি। বিধানসভা ভোটে আশানুরূপ ফল না হলেও রাজ্যে বিজেপির সংগঠন মজবুত করার ক্ষেত্রে মেদিনীপুরের সাংসদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, একথা মোদী-শাহরা ভালোভালেই জানেন। এছাড়াও আরএসএস যোগ, দিলীপ ঘোষকে অনেকটাই এগিয়ে রাখছে।
লকেট চট্টোপাধ্যায়: রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লকেট চট্টোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরের অন্যতম সক্রিয় সাংসদ। তাঁকে মাঠে-ময়দানে সব সময় দেখা যায়। দলের প্রতি তিনি যে অনুগত, তার প্রমাণ বারবার দিয়েছেন। বিধানসভা ভোটে হারলেও কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে মনোবল জুগিয়েছেন। এটাই তাঁর প্লাস পয়েন্ট।
শান্তনু ঠাকুর: রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, মতুয়া ভোটকে হাতে রাখতে বিজেপির তুরুপের তাস শান্তনু ঠাকুর। তাই তাঁর মন্ত্রিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লা : একুশের বিধানসভা ভোটে দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির। এর প্রধান কারিগর বলে মনে করা হচ্ছে নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লাকে। তবে জনের থেকে এগিয়ে নিশীথ। কারণ, লোকসভা ও বিধানসভা দুটো ভোটেই জিতে নিজের গুরুত্ব দলকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
সুভাষ সরকার : বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের নাম ঘিরেও জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজ্য বিজেপির অন্যতম পুরোনো নেতা সুভাষ সরকার। আবার আরএসএস যোগ তাঁকে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখছে।