ফের ধস তিনধারিয়াতে
বছরের প্রথম বড় ধস নামল পাহাড়ে। ফের ধসের জায়গা সেই আশঙ্কার তিনধারিয়া। ক্ষতি হয়েছে টয়ট্রেনের লাইনেও। ফলে সন্তর্পনে ধস সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করার পাশাপাশি, রেলকেও খবর দেওয়া হয়েছে। তারাও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে।
শুক্রবার সকালে ধস গৈরিগাঁওতে
শুক্রবার সকালেই টানা বৃষ্টির ফলে কার্শিয়ংয়ের তিনধারিয়ায় ধস নামে। তিনধারিয়ার কাছে গৈরিগাঁওতে প্রায় ৪০ মিটার রাস্তা সম্পূর্ণ ধসে গিয়েছে। ফলে রাস্তা সারাতে কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। এই মূহূর্তে রাস্তার উপর ডাঁই হয়ে রয়েছে উপর থেকে গড়িয়ে আসা পাথরের চাঁই, মাটি। ওই রাস্তাটি ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের অধীন। সকালে ধস নামার পরই ওই রাস্তায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পাহাড়ের সঙ্গে শিলিগুড়ির এটি অন্যতম প্রধান রাস্তা। সেই রাস্তাতে ধস নেমে অবরুদ্ধ হয়ে পরে।
সোজাপথে বন্ধ শিলিগুড়ি-দার্জিলিং যোগাযোগ
কার্যত সোজাপথে বন্ধ হয়ে যায় শিলিগুড়ির সঙ্গে পাহাড়ের যোগাযোগ। তবে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য রোহিনী ও মিরিক হয়ে যে রাস্তাটি রয়েছে সেটি দিয়ে সমস্ত গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ি থেকে যে সমস্ত গাড়ি রয়েছে সেগুলিকে সুকনা মোড় থেকে রোহিনীর পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ধসের জেরে টয়ট্রেনের লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি মাথায় করে ধস সরানোর কাজ চলছে জোর কদমে।
পরপর ধসে উদ্বেগ
কয়েকদিন আগেই বিজনবাড়ি এলাকায় ধস নেমেছিল। এবার ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের জেরে উদ্বেগ ছড়ায়। প্রায় প্রতি বছরই ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাহাড়ের বিভিন্ন রাস্তা। বিশেষ করে পাগলাঝোরা, গণেশ ঝোরা, সেতিঝোরা, রিয়াং এলাকাগুলি বরাবরই ধসপ্রবণ। এদিকে দীর্ঘদিন পর জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ অনেকটাই হয়েছিল। সেই সড়কও এবার ক্ষতির মুখে। সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
হতাহতের খবর নেই
তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, অতিমারির জেরে পর্যটকদের সংখ্যা কম থাকায় বড় দুর্ভোগ এড়ানো গিয়েছে। ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে এদিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
টয়ট্রেনে আশঙ্কা
তবে লকডাউনের পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টয়ট্রেন খুলে ফের পর্যটনে গতি আসার আশঙ্কা করছিলেন সাধারণ মানুষ ও পর্যটন স্টেক হোল্ডাররা। তার উপর নতুন করে টয়ট্রেনের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা সময়মতো স্বাভাবিক করা যাবে কি না তা নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তায় সকলেই।