নওশাদ সিদ্দিকীফের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর (Naushad Siddiqui)। বুধবার ফের তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। নিউ মার্কেট থানার আবেদনের ভিত্তিতে এদিন এই নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে হেয়ার স্ট্রিট থানার মামলায় এদিন আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। তাতে নওশাদকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল (TMC) ও আইএসএফ কর্মীরা। সেই গন্ডগোলের আঁচ পড়ে শহর কলকাতাতেও (Kolkata)। ওই দিন বিকালে কলকাতার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় আইএসএফ কর্মীদের। পুলিশকর্মীদেরও মারধরের অভিযোগ ওঠে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পাল্টা চলে ব্যাপক পুলিশি ধরপাকড়। সেই গন্ডগোলেই গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ বেশ কয়েকজনকে। যার মধ্যে রয়েছে এক নাবালকও।
এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবি জানাতে থাকেন আইএসএফ কর্মী সমর্থকেরা। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়নি। বুধবার ফের আদালতে তোলা হয় তাঁকে। এদিন হেয়ার স্ট্রিট থানার মামলায় আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। পুলিশকে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় ২০ জনের বিরুদ্ধে এদিন পেশ করা হয় চার্জশিট। অন্যদিকে নিউ মার্কেট থানার পক্ষ থেকে এদিন নওশাদকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়। পাল্টা নওশাদের জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। যদিও শেষ পর্যন্ত নিউ মার্কেট থানার মামলায় নওশাদকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি হেয়ার স্ট্রিট থানার মামলায় তাঁকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিনও নওশাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইএসএফ (ISF) কর্মী সমর্থকেরা। পরিস্থিতি যাতে হাতে বাইরে না চলে যায়, তার জন্য আগে থেকেই মোতায়েন করা হয় ব়্যাফ (RAF)।
আরও পড়ুন - দেহে বাসা বাঁধছে ক্যান্সার? এই ৫ লক্ষণে শনাক্ত করুন প্রথম স্টেজেই