অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি বিবাদ নিয়ে এবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বিশ্বভারতী (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষের। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জমি সমস্যা মেটাতে অমর্ত্য সেন চাইলে আদালতের সাহায্য নিতে পারেন, অথবা আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারেন। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে যাতে বিশ্বভারতীর জমি দখল না হয় এবং যে জমি ইতিমধ্যেই দখল হয়েছে সেই জমি পুনরুদ্ধার করার সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই জমি নিয়ে বিবাদ চলছে অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মধ্যে। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রয়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে তাঁকে দুটি চিঠিও পাঠানো হয়। যদিও বিশ্বভারতীর দাবি ঠিক নয় বলে পাল্টা দাবি করেছেন অমর্ত্য সেন। এখানেই শেষ নয়, অমর্ত্য সেনের নোবেল প্রাপ্তি নিয়েও বিতর্ক শুরু করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাই এসবের মাঝে বিশ্বভারতীর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আগে যে জমি দখল হয়েছে সেই জমি পুনরুদ্ধারের সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে কথা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তা কার্যত পরোক্ষে হুঁশিয়ারি বলেই মনে করছেন কেউ কেউ।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তাতে জানানো হয়েছে, বিশ্বভারতীর ১১৩৪ একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে ২০১৮ সালে ৭৭ একর জমি দখল করা হয়েছিল। গত চার বছরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখলদারের কাছ থেকে ১৫ একর জমি পুনরুদ্ধার করেছে এবং বাকি জমি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, জমি উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে অমর্ত্য সেনকে ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর তরফে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিম্যাল জায়গা অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচী-র মধ্যে ঢুকে রয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে চিঠি দিয়ে সেই জমি ফেরত দেওয়ার আর্জিও জানান হয়েছে বিশ্বভারতীর তরফে। পাল্টা প্রতীচী-র জমি কেনার ইতিহাস তুলে ধরেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষও নিজেদের বক্তব্যে অনড়। এখন দেখার জমি বিবাদের জল কত দূর গড়ায়।
আরও পড়ুন - ভ্যালেন্টাইনস ডে-র পরই মীনে প্রবেশ শুক্রের, ৬ রাশির কর্ম-দাম্পত্যে আসবে সৌভাগ্য