ঘুড়ির সুতোয় আটকে পড়েছিল। আর তাই বেজায় ছটফট করছিল পাখিটি। পরে একদল বণ্যপ্রাণপ্রেমীর উদ্যোগে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর এলাকার ঘটনা।
উদ্ধার হয়েছে একটি পেঁচা। তার ডানায় সামান্য চোট লেগেছে। প্রাথমিক সুশ্রুষা করা হয়েছে। সেটি এখন অনেকটাই সেরে উঠেছে। সামান্য খাবার দেওয়া হয়েছে। তা খেয়েছে। আপাতত রাখা হয়েছে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে।
'বন্য' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই কাজ করেছে। স্থানীয়দের সাহায্যে পাখিটিকে উদ্ধর করা হয়েছে। এদিন তাঁদের হেল্পলাইনে একটি ফোন আসে। পিয়াসা কোলে নামে হাওড়ার এক বাসিন্দা তাঁদের ফোন করেন এবং জানান, সেখানে একটি পেঁচা আটকে পড়েছে।
এই খবর পাওয়ার পর ওই সংগঠনের সদস্যরা সেখানে যান। এবং উদ্ধারে কাজ শুরু করে দেন। এ কাজে তাদের সাহায্য করেন সেখানকার বাসিন্দারা। বেশ কিছুক্ষণ পর পাখিটিকে উদ্ধার করা হয়। ঘুড়ির সুতোয় সেটির ডানা আটকে গিয়েছিল। তাই সে আর উড়তে পারছিল না। মাটি থেকে প্রায় ৩০ ফুট উঁচুতে পাখিটি আটকে ছিল দীর্ঘক্ষণ। সেখানকার একটি মেহগনি গাছে আটকে পড়েছিল পাখিটি।
তবে তাকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তার বিশেষ কোনও চোট লাগেনি। ডানায় সামান্য চোট লেগেছে। ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে। আপাতত রয়েছে পিয়াসা কোলের বাড়িতে। দিনের আলোয় সেটি বাইরে যেতে চাইছিল না। তাঁরা অপেক্ষা করছেন যদি রাতে সেটি উড়ে যায়। না হলে বন দফতরের কাছে তুলে দেওয়া হবে।
বেশ কয়েকজন প্রাণিপ্রেমী মিলে তৈরি করেছেন এই সংগঠন। আটকে পড়া পাখি বাঁচানোর জন্য তারা 'মুক্তবিহঙ্গ' নামে একটি কর্মসূচি নিয়েছেন। গত ৮ মাসে তারা গোটা তিরিশেক পাখি উদ্ধার করেছে কলকাতা এবং কলকাতার আশপাশে এলাকা থেকে বন্য প্রাণীর ব্যাপারে মানুষকে তারা সচেতন করেন।
এদিন 'বন্য' সভাপতি সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, তাদের কাছে একটি ফোন আসে। এবং তারা উদ্ধারের কাজে নেমে পড়েন। ঘুড়ির সুতোয় পেঁচাটির ডানা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে আপাতত ঠিক আছে।
তাঁদের আবেদন, সরস্বতী পুজোয় অনেক জায়গায় ঘুড়ি ওড়ানো হয়। চাইনিজ বা প্লাস্টিক মাঞ্জা যেন ব্যবহার না-করা হয়। ওই সুতোই বেশি বিপত্তি পাকায়। ওই সুতো খুব শক্ত। তাই পাখি আটকে পড়ে। চাইনিজ বা প্লাস্টিক মাঞ্জা ব্যবহার না করলেই সমস্যা মিটে যায়।