scorecardresearch
 

'দল পাশে আছে,' মেখলিগঞ্জে কর্মীদের সঙ্গে খোশ মেজাজে পরেশ

কোচবিহারের এন এন মেমোরিয়াল হলে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন পরেশ অধিকারী। ঘরোয়া বৈঠক হলেও শুরুতেই সবাইকে মোবাইল বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও বৈঠকের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে পরেশবাবু বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। তবে তিনি আবার আগের মতোই সব জায়গায় যাবেন। কলকাতায় দলের নেতৃত্বও তাঁর সঙ্গে আছেন বলে দাবি করেন পরেশবাবু। 

Advertisement
পরেশ অধিকারী পরেশ অধিকারী
হাইলাইটস
  • কোচবিহারে ফিরলেন পরেশ অধিকারী
  • ফিরেই কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক
  • অঙ্কিতা কোথায় রয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়

দল পাশে আছে, তিনি আবার আগের মতোই সব জায়গায় যাবেন, মেখলিগঞ্জে ফিরে দলীয় কর্মীদের এমনটাই বললেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। পরপর ৩ দিন সিবিআই-এর জেরা সেরে আজ মঙ্গলবার মেখলিগঞ্জে ফেরেন পরেশবাবু। এদিন কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরা পৌঁছান তিনি। তারপর সেখান থেকে গাড়িতে করে রওনা দেন কোচবিহারের উদ্দেশ্যে। হলদিবাড়িতে তাঁকে স্বাগত জানান দলের কর্মীরা। সেখান থেকে বাইক মিছিল করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দলীয় সভায়। 

কোচবিহারের এন এন মেমোরিয়াল হলে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন পরেশ অধিকারী। ঘরোয়া বৈঠক হলেও শুরুতেই সবাইকে মোবাইল বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও বৈঠকের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে পরেশবাবু বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। কোনও চিন্তা নেই, তিনি আবার আগের মতোই সব জায়গায় যাবেন। কলকাতায় দলের নেতৃত্বও তাঁর সঙ্গে আছেন বলে দাবি করেন পরেশবাবু। 

রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'এই কয়েকদিনের মধ্যে দেখা গেল কে দলের আসল লোক, আর কে নকল। যাঁরা আমাদের সঙ্গে মেলামেশা করেন, তাঁদের অনেকেরই টিকি দেখা যায়নি। আর যাঁরা প্রকৃত তৃণমূল কংগ্রেস করেন, তাঁরা আমার সঙ্গে আছেন।' বৈঠক সেরে এদিন নিজের বাড়িতেও যান মন্ত্রী। তবে তিনি কোচবিহারে ফিরলেও তাঁর মেয়ে কোথায় রয়েছেন সেবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। 

প্রসঙ্গত, এসএসসি-তে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। সেই পরীক্ষায় প্রথম মেধাতালিকায় প্রথম ২০-র মধ্যে নাম না থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় মেধাতালিকায় একেবারে প্রথমে উঠে আসে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার অধিকারীর নাম। অঙ্কিতার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১। এদিকে দেখা যায় ৭৭ নম্বর পেয়ে প্রথম তালিকায় ২০ নম্বরে থাকা ববিতা সরকার নেমে গিয়েছেন দ্বিতীয় মেধাতালিকার ২১ নম্বরে। ফরে চাকরি পাননি তিনি। এমনকি অঙ্কিতা পার্সোনালিটি টেস্টেও বসেননি বলে জানা যায়। সেই মামলাতেই পরেশ অধিকারীকে সিবিআই-এর কাছে হাজিরার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও তাঁর এতদিনে পাওয়া বেতন ২ দফায় ফেরৎ দেওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারপতি। 

Advertisement

আরও পড়ুন - বিনা পয়সায় সারা মাস খাওয়াদাওয়া সারলেন এই মহিলা, কীভাবে? 

 

Advertisement