মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুতল নিয়ে কড়া বার্তা দিলেও হাওড়ার জেলা প্রশাসন নির্বিকার। কলকাতার মতো একই ছবি দেখা যাচ্ছে হাওড়াতেও। বেআইনি বহুতলের চাপে পাশের বহুতল গুলি বিভিন্ন জায়গায় হেলে পড়েছে। দেখে মনে হবে, এই বুঝি পড়ে যাবে। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীরা। আর সেই ভয়ে এলাকা ছাড়ার তোড়জোর করছেন তাঁরা। এলাকার কাউন্সিলরকে জানিয়েও না কি কোনও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। খোদ রাজ্যের মন্ত্রী দেখে থ। যাঁরা এই কাজ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
শহর জুড়ে ছিল বিভিন্ন ছোট বড় কলকারখানা। পরিস্থিতির চাপে কলকারখানা গুলি বন্ধ হতে থাকে। আর সেই সকল জায়গায় গজিয়ে ওঠে বহুতল আবাস। আর এই বহুতল আবাস গুলো শহরটাকে ছেয়ে ফেলেছে। শুধু যে হাওড়া পুর এলাকা তা নয়, বালি মিউনিসিপ্যালিটি অঞ্চলেও একই দৃশ্য দেখা যায়।৩৭ নম্বর রোজ মেরি লেনের বহুতলটি একদিকে হেলে রয়েছে। ওই বহুতলের ৭০ শতাংশ বাসিন্দা আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীরা। কিন্তু প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও রকম পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। ১৬/৩৪ রাজেন্সেট লেন বেলুড় মঠে অবস্থিত বহুতলটিও একদিকে হেলে পড়েছে। এসডিও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বাড়িটিকে খালি করিয়েছেন এবং তা সোজা করার ব্যবস্থা করেছিলেন।
এই বিষয় মন্ত্রী অরূপ রায় বেলুড় এর একটি অনুষ্ঠানে এসে সরাসরি বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী আগেই পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন যে এই সকল বেআইনি বিল্ডিং যাঁরা বানাচ্ছেন তাঁরা বেপরোয়া হয়ে গেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। FIR করা উচিত এবং অ্যারেস্ট করা উচিত।
এই নিয়ে বিজেপি নেতা উমেশ রায় জানান, রাজ্যের মন্ত্রী যখন নিজেই এই ঘটনাকে বেপরোয়া প্রোমোটার রাজ বলে স্বীকার করে নিচ্ছেন সেখানে আমরা বিরোধী হয়ে বিরোধিতা করলেও কোন রকম ব্যবস্থা প্রশাসন বা পুলিশের তরফ থেকে নেওয়া হচ্ছে না।
সংবাদদাতা- হিমাদ্রী ঘোষ