আগামী নভেম্বর মাস থেকে শুরু হতে চলেছে থমকে থাকা আজিমগঞ্জ-নশিপুর রেল ব্রিজের বাকি অংশের কাজ। আর এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগে একটা বড় রূপান্তর ঘটে যাবে। কারণ যাত্রা সময় কমে যাবে প্রায় তিন ঘন্টা। ফলে উৎসাহ গোটা রাজ্যে। পাশাপাশি ওই সেতু চালু হয়ে গেলে মুর্শিদাবাদের ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিবর্তন হবে। কারণ সেতু চালু হলে আজিমগঞ্জে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন থামবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে আজিমগঞ্জ-নসিপুর রেল ব্রিজের বাকি অংশের কাজ দ্রুত শুরু হবে। সেই কাজ শেষ হলেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্য়ে রেলপথে যোগাযোগ একধাক্কায় কমে যাবে। মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০২১ সালেই বিষয়টি নিয়ে রেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। এরপর ডিসেম্বরে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা হলে তিনি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে কাজ শুরু বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন।
মার্চের মধ্য়েই ট্রেন চলাচল শুরু হবে
জানা গিয়েছে আগামী নভেম্বর মাস থেকে অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার কাজে হাত দেবে রেল দফতর। মার্চ এপ্রিলের মধ্যেই রেল চলাচল শুরু হয়ে যাবে। তার জন্য আশপাশের এলাকার জমি মালিকদের কোনও আপত্তি নেই বলেও দাবি করেছেন বিধায়ক।
২০১০ সালে চালুর কথা থাকলেও তা হয়নি
এদিকে ২০০৪ সালে ৪৬.৭০ কোটি টাকার এই রেলপ্রকল্পের শিলান্য়াস হয়েছিল। ভাগীরথী নদীর উপর এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রেনটি চলার কথা। ২০১০ সালে এটি চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জমি জটে আটকে তা হয়নি। অবশেষে জট কাটার ইঙ্গিতে খুশির হাওয়া মুর্শিদাবাদে।
১১৩ কিলোমিটার কমবে দূরত্ব
এটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনকে আর বর্ধমান দিয়ে ঘুরে যেতে হবে না। শিয়ালদহ ও হাওড়া থেকে ট্রেনে চাপলে বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, আজিমগঞ্জ হয়ে ট্রেন পৌঁছে যাবে উত্তরবঙ্গে। প্রায় ১১৩ কিমি দূরত্ব কমে যাবে এই রুটে। সময়ের হিসেবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা সময় কমবে।