scorecardresearch
 

Srabani Mela 2021 : করোনার জের, এবারেও হচ্ছে না তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা

গুরু পূর্ণিমা থেকে শুরু হয় শ্রাবণী মেলা। শেষ হয় রাখি পূর্ণিমাতে। শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় তারকেশ্বরে। তবে করোনার কারণে এবার বেশকিছু বিধিনিষেধ করা হয়েছে। মহন্ত মহারাজ জানাচ্ছেন, কোনওভাবেই মন্দির চত্বরে একসঙ্গে ২০০ জনের বেশ ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন না।

Advertisement
তারকেশ্বর মন্দির (ফাইল ছবি) তারকেশ্বর মন্দির (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
  • তারকেশ্বরে বসছে না শ্রাবণী মেলা
  • পুজো হবে নিয়ম মেনেই
  • জানালেন মঠাধিশ মহন্ত মহারাজ

কোভিড পরিস্থিতিতে এবারেও শ্রাবণী মেলা (Srabani Mela 2021 ) হচ্ছে না, জানিয়ে দিলেন তারকেশ্বর মন্দিরের মঠাধিশ দন্ডীস্বামী সুরেশ্বর আশ্রম মহন্ত মহারাজ। এমনকী শ্রাবণী মেলার ক্ষেত্রে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে যা যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ইতিমধ্যেই জেলাশাসক এবং মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তারকেশ্বর মন্দিরের মঠাধিশ।

প্রশাসনের তরফে আগেই শ্রাবণী মেলা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হলেও মন্দির (Tarkeshwar Mandir) কর্তৃপক্ষের ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা জানা যায়নি। তবে এবার মন্দির কর্তৃপক্ষও শ্রাবণী মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিল। অর্থাৎ মন্দির খোলা থাকলেও, বন্ধ থাকবে জলযাত্রা, বাঁকযাত্রা ও কাওড়যাত্রা।

মূলত গুরু পূর্ণিমা থেকে শুরু হয় শ্রাবণী মেলা। শেষ হয় রাখি পূর্ণিমাতে। শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় তারকেশ্বরে। তবে করোনার কারণে এবার বেশকিছু বিধিনিষেধ করা হয়েছে। মহন্ত মহারাজ জানাচ্ছেন, কোনওভাবেই মন্দির চত্বরে একসঙ্গে ২০০ জনের বেশ ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন না। 

এছাড়া ঢোকা বেরোনর ক্ষেত্রেও থাকছে পৃথক গেটের ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে ১,২ ও ৪ নম্বর গেট দিয়ে ভক্তরা মন্দির ঢুকবেন এবং ৫ ও৬ নম্বর গেট দিয়ে তাঁরা বেরোবেন। ভক্তদের কথা ভেবে এবার মন্দির খুলে রাখার সময়সীমাও বাড়ান হচ্ছে। এবছর ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দির। পাশাপাশি সন্ধ্যাতেও বাড়ান হচ্ছে সময়। একইসঙ্গে পৌর ও ব্লক প্রশাসনের কাছে গেটগুলিতে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখার আবেদনও জানিয়েন মহন্ত মহারাজ। 

তবে মেলা না হলেও নিয়ম নীতি মেনেই হবে পুজো। যদিও গর্ভগৃহ বন্ধই থাকবে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রশাসনের কাছে মহন্ত মহারাজের আবেদন, তারকেশ্বরের মতো এবার হুগলি জেলার অন্যান্য শিবমন্দিরগুলিতেও বন্ধ রাখা হোক জলযাত্রা, বাঁকযাত্রা ও কাওড়যাত্রা। 

Advertisement

 

Advertisement