স্টিম থেরাপিতে এখনও করোনাহীন মাঝেরডাবরি চা বাগান!

গরম জলের ভাপেই করোনা মুক্ত চা বাগান। দিনে দু বার গরম জলের পাইপের সামনে দাঁড়িয়ে গরম জলের ভাপ নিচ্ছে বাগানের দেড় হাজার শ্রমিক। আর স্টিম থেরাপিতেই নাকি করোনা গায়েব চা বাগান থেকে। করোনার প্রথম সংক্রমণ কিংবা দ্বিতীয় ঢেউ  বাগানের ১৫০০ শ্রমিককে স্পর্শ করতে পারেনি করোনা মহামারী। বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি গরম জলের ভাপেই এখনও পর্যন্ত করোনা মুক্ত চা বাগানের শ্রমিকরা।

Advertisement
স্টিম থেরাপি! করোনাহীন মাঝেরডাবরি চা বাগান!কেটলিতে ফুটছে গরম জল
হাইলাইটস
  • স্টিম থেরাপিতেই করোনা মুক্ত মাঝেরডাবরি
  • ১৫০০ শ্রমিকের একজনও করোনা আক্রান্ত হননি
  • স্টিম অনেক রোগ থেকে মুক্ত রাখে দাবি চিকিৎসকের

স্টিম থেরাপিতেই করোনা মুক্তি

গরম জলের ভাপেই করোনা মুক্ত চা বাগান। দিনে দু বার গরম জলের পাইপের সামনে দাঁড়িয়ে গরম জলের ভাপ নিচ্ছে বাগানের দেড় হাজার শ্রমিক। আর স্টিম থেরাপিতেই নাকি করোনা গায়েব চা বাগান থেকে। করোনার প্রথম সংক্রমণ কিংবা দ্বিতীয় ঢেউ  বাগানের ১৫০০ শ্রমিককে স্পর্শ করতে পারেনি করোনা মহামারী। বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি গরম জলের ভাপেই এখনও পর্যন্ত করোনা মুক্ত চা বাগানের শ্রমিকরা।

আসল কথা আগাম ঠাণ্ডা লাগা থেকে বাঁচা

আলিপুরদুয়ার জেলার ৭২ টি চা বাগানেই করোনা সংক্রমণ হয়েছে। করোনা সংক্রামিত হয়ে চা বলয়ে মৃত্যু হয়েছে শ্রমিকদের। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে জেলার একমাত্র মাঝেরডাবরি চা বাগানেই দাঁত ফোটাতে পারেনি করোনা অতিমারী। এখনও পর্যন্ত একজন শ্রমিকও করোনায় আক্রান্ত হয়নি মাঝেরডাবরি চা বাগানে।
যদিও আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক পার্থপ্রতিম দাস বলছেন গরম জলের বাষ্প নিলে করোনা সংক্রমণ হবে না, এটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। তবে দিনে দুবার নিয়মিত গরম জলের ভাপ নিলে 
শ্বাসকষ্ট থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়।

দিনে দুবার চলছে স্টিম থেরাপি

আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ একটি হিটার, প্রেসারকুকার, পাইপ দিয়ে গরম জলের ভাপ নেবার একটি ছোটখাটো প্রকল্প তৈরি করে ফেলেছে। সকালে ফ্যাক্টরিতে কাজে এসে এবং কাজ সেরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় দিনে দুবার নিয়মিত গরম জলের ভাপ নিচ্ছেন বাগানের ১৫০০ শ্রমিক।

করোনাহীন মাঝের ডাবরি

মাঝেরডাবরি চা বাগানে বর্তমানে ১৫০০ শ্রমিক রয়েছেন। কিন্তু করোনার নিয়ম বিধির জন্য আপাতত ৮০০ শ্রমিক পালা করে বাগানের কাজে নিযুক্ত। তবে এই চা বাগানে করোনা আক্রান্ত শ্রমিকের সংখ্যা শূণ্য। মাঝের ডাবরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর জানিয়েছেন, গরম জলে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে সর্দিতে ভাপ নেওয়ার ওষুধ। এই বাস্পেই করোনা শূণ্য চা বাগান। করোনার এই পরিস্থিতিতে এটা মহৌষধির মত কাজ করছে। এই চা বাগানের ৩৫৭ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একজনেরও করোনা ধরা পড়েনি। শহর লাগোয়া হওয়া সত্ত্বেও এই চা বাগানের করোনাহীনতা অন্যদেরও চোখ টাটাচ্ছে।

Advertisement

খুশি চা শ্রমিকরা

বাগানের শ্রমিক সুনীতা ওঁড়াও জানিয়েছেন, আমাদের বাগানে করোনা সংক্রমণ নেই। কিন্তু সব চা  বাগানেই করোনা সংক্রমণ হয়েছে। আমাদের চা বাগানে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হবার কোনও রেকর্ড নেই। আমরা ফ্যাক্টরিতে দিনে দুবার নিয়মিত গরম জলের ভাপ নিই। তাতেই আমরা সকলে সুস্থ রয়েছি।
 

 

POST A COMMENT
Advertisement