scorecardresearch
 

'বুদ্ধবাবু প্রশ্নের উত্তর দিতেন, ইনি দেন না,' পুলিশ বাজেট নিয়ে মমতাকে টার্গেট শুভেন্দুর

বিরোধী দলনেতা বলেন, 'বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের মাঝে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। পুলিশ বাজেটে আলোচনার জন্য ডাকা হয়। আমাদের বিধায়করা সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রেখেছেন। আমার বক্তব্যের সময় পরিকল্পিতভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে কাউন্সিলরের খুন থেকে আনিস হত্যা প্রসঙ্গ, তুলতে বাধা দেওয়া। নির্বাচন পরবর্তী হিংসার কথা যাতে নথিভুক্ত করতে না পারি তাই বাধা দেওয়া হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাতে উষ্কানি দিয়েছেন।'

Advertisement
শুভেন্দু অধিকারী শুভেন্দু অধিকারী
হাইলাইটস
  • বিধানসভায় বক্তব্যের সময় বাধা দেওয়ার অভিযোগ
  • 'উষ্কানি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী'
  • অভিযোগ বিরোধী দলনেতার

'১০ বছরে প্রথমবার পুলিশ বাজেট, এর আগে প্রতিবার গিলোটিনে পাঠিয়েছেন। আমাদের বিধায়ক বিষ্ণ শর্মা ৮ মাস আগে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তার অ্যাকনলেজমেন্ট পর্যন্ত দেয় না। ২০০৬ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রতি বৃহস্পতিবার প্রশ্নের উত্তর দিতেন, এরা দেয় না।' স্বরাষ্ট্রবাজেট নিয়ে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাবী ভাষণের সময়ই বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। এরপরে অধিবেশন চলাকালীনই ওয়াকআউট করেন তাঁরা। পরে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিরোধী দলনেতা বলেন, 'বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের মাঝে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। পুলিশ বাজেটে আলোচনার জন্য ডাকা হয়। আমাদের বিধায়করা সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রেখেছেন। আমার বক্তব্যের সময় পরিকল্পিতভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে কাউন্সিলরের খুন থেকে আনিস হত্যা প্রসঙ্গ, তুলতে বাধা দেওয়া। নির্বাচন পরবর্তী হিংসার কথা যাতে নথিভুক্ত করতে না পারি তাই বাধা দেওয়া হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাতে উষ্কানি দিয়েছেন।'

শুভেন্দু অধিকারী আরও অভিযোগ করেন, 'আমি মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট দেখাচ্ছিলাম। তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইশারা করে বাধা দিতে বলছেন। এখানে আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন রয়েছে। আমার পুলিশের রেশন ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি। আমরা বলেছি ডায়রেক্টর অফ সিকিউরিটির লোকেরা যদি ১০ হাজার টাকা করে বেশি পান তাহলে বাকিরাও পাবেন না কেন?'

বিরোধী দলনেতা এদিন দাবি করেন, 'আজ কাশ্মীর ফাইল যেমন চর্চিত হয়েছে তেমনই আগামিদিনে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন পরবর্তী হিংসা আলোচিত হবে। পুলিশকে দলদাসে পরিণত করে রেখেছে। কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকার যা করেছে এখানও তাই দরকার। ৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার হত্যাকারী সজ্জন কুমার যদি জেলে যেতে পারেন, তাহলে এই গুন্ডাগুলোও জেলে যাবেন। অনুব্রত মণ্ডল, উদয়ন গুহ, সওকত মোল্লারা ব্যাগটা গুছিয়ে রাখুন।'

Advertisement

আরও পড়ুনকবে বেরোবে RRB NTPC-র রিভাইসড রেজাল্ট? দেখুন নোটিশ

 

Advertisement