গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে লড়াইকে তিনি সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বৈঠকের পরেই মমতা ও কেজরিওয়ালকে একযোগে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের দু'জনকেই 'দুর্নীতিগ্রস্ত' বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অনেক মন্ত্রীকে দুর্নীতির দায়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। তিনি নবান্নে জাতীয় পতাকা রেখেছেন এবং সরকারি অফিসকে পার্টি অফিসে পরিণত করেছেন। কেজরিওয়ালেরও অনেক মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। এই দুই নেতাই দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে জোট করার জন্যই এই বৈঠক। এটা তাঁদের বৈঠক"। শুভেন্দু আরও বলেন, "আমি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ৩৫টি আসন দেব"।
'এক দেশ, এক পুলিশ'
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার এক জাতি, এক পুলিশের জন্য লোকসভায় একটি নতুন বিল আনবে। তাঁরা তাই নিয়ে আতঙ্কিত। এই আইন পাশ হলে পুলিশকে দিয়ে আর মিথ্যা মামলা করার সুযোগ পাবেন না মমতা। তাই ভীত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভীত কেজরিওয়ালের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন"।
কেন্দ্রের সাম্প্রতিক এক অর্ডিন্যান্সের লড়াইতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন চাইতে গতকাল রাজ্যে আসেন আরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই লড়াইতে সমর্থন দেওযার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ৬ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার পড়ে যেতে পারে বলেও কার্যত ইঙ্গিত দেন মমতা। তিনি বলেন, "আর তো ৬ মাস, মিরাকল হলে তার আগেও গদি হারাতে পারে কেউ। তাই এজেন্সিকে বকেঝকে এই করো সেই করো বলে নির্দেশ দিচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "অভিষেকের বাড়িতে সেদিন এসে নোটিশ দেয় তারা। আমরা কি তাদের চাকর? অহংকারের একটা সীমা থাকা উচিত। বিজেপির নেতা সরাসরি হুমকি দিচ্ছে কাকে, কবে গ্রেফতার করা হবে, এজেন্সি যাবে! বিজেপির চুনোপটিদের কাছে কীকরে এসব তথ্য যায়? তারা কি সংবিধান বদলে দেবে? তারা সুপ্রীম কোর্টের আদেশও মানছে না! আমি অবাক"!
আরও পড়ুন - ৬ মাসের মধ্যে পড়ে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার ? কেজরিওয়ালকে পাশে বসিয়ে ইঙ্গিত মমতার