সম্প্রতি জাতীয়দলের তকমা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপর নাকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ৪ বার ফোন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সিঙ্গুরে একটি জনসভা ছিল বিজেপির। সেখানেই এহেন দাবি করেন শুভেন্দু।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, 'অমিত শাহকে গুন্ডা বলেছেন। তাঁকে চারবার ফোন করে পা ধরেছেন'। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি বলেছেন, আমার রাষ্ট্রীয় তকমাটা রাখা যাবে না ২০২৪ পর্যন্ত'? জবাবে অমিত শাহ বলেছেন, 'না রাখা যাবে না, আপনি তো ভোট পাননি। নির্বাচন কমিশন নিয়মে চলে। আপনি নিয়মের বাইরে গিয়েছেন, তাই আপনি আর সর্বভারতীয় নন'।
শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবি অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'মমতা দি কেন অমিত শাহকে ফোন করতে যাবেন? বিকারগ্রস্তের মতো কথা বলছেন শুভেন্দু'। কুণাল ঘোষের আরও দাবি, ২০০৯ সালে শুভেন্দু অধিকারীই পা ধরেছিলেন মমতার। নিজের বাবা অর্থাৎ শিশির অধিকারীকে মন্ত্রী না করে, তাঁকে মন্ত্রী করার আর্জি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু, দাবি কুণাল ঘোষের।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সর্বভারতীয় দলের তকমা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে যা তৃণমূলের কাছে একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আসলে জাতীয় দলে তকমা পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের বেশ কিছু শর্ত আছে। সেগুলি পূরণ করলে তবেই পাওয়া যায় বা ধরে রাখা যায় ওই তকমা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সেই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়াতেই জাতীয় দলের তকমা চলে গিয়েছে। শুধুমাত্র তৃণমূলই নয়, একই সঙ্গে জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে এনসিপি ও সিপিআই। অন্যদিকে আবার জাতীয় দলের তকমা পেয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। যদিও কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ষড়যন্ত্র বলেই মনে করে তৃণমূল। এই বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বাংলার শাসকদল।
আরও পড়ুন - মাধ্যমিক পাশেই রেলে চাকরি, জেনে নিন সমস্ত তথ্য