সামনেই সংসদের বাদল অধিবেশন। এর মধ্যেই দিল্লি উড়ে যাবেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। তার আগে বৃহস্পতিবার অর্জুনের ভাটপাড়ার বাড়িতে হাজির হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় ঘণ্টাখানেক দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন অর্জুন পুত্র পবন সিং। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। বাদ গেল না মুকুল রায়ের প্রসঙ্গও।
মুকুল রায় নিয়ে শুভেন্দু
সম্প্রতী স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে মুকুল রায়ের। তারপরেই মুকুলবাবুর সঙ্গে দেখা করতে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ বলেন এটা সৌজন্যের রাজনীতি। তিনি নিজেও মুকুল রায়ের স্ত্রীর মৃত্যুর পরে শোকপ্রকাশ করে মেসেজ করেছিলেন। মুকুল রায়ও পাল্টা তাঁকে শ্রাদ্ধের কার্ড পাঠিয়েছিলেন হোয়াটসঅ্যাপে।
মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট
বৃহস্পতিবারই ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখে হাইকোর্টে কড়া রিপোর্ট দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন শুভেন্দু। রিপোর্টের প্রথম লাইনেই লেখা রয়েছে, 'আইনের শাসন নয়, রাজ্যে শাসকের আইন চলছে'! প্রসঙ্গটি তুলে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা। এদিন অর্জুন সিং-এর সঙ্গে বৈঠকে বারাকপুর এলাকায় ঘরছাড়াদের কীভাবে বাড়ি ফেরান যায় তাই নিয়েও তাঁর কথা হয়েছে বলে জানান শুভেন্দু। রাজ্যপালের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজির হওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া, "ঠেলায় পরলে বিড়াল গাছে ওঠে না।"
অর্জুন সিং-এর সঙ্গে বন্ধুত্ব
এদিন সাংবাদিকদের সামনে অর্জুন সিং-এর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ পথচলার কথাও বলেন শুভেন্দু। জানান দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা তৃণমূলে থেকেছেন। এখন অর্জুনকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। বারাকপুরের সাংসদের ও তাঁর লড়াইয়ের পথও যে একই রকম সেকথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।