scorecardresearch
 

Tathagata Roy: 'পার্ট টাইম সভাপতি দিয়ে দল চলছে', রাজ্য বিজেপির কাজে অসন্তোষ তথাগতর

রাজ্যে বিজেপির লাগাতার পতন ও বারবার ভোটে হার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথাগত রায়ের। তিনি দাবি করেন, পার্ট টাইম সভাপতি দিয়ে দল চলছে, যিনি কিনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। পূর্ণ-সময়ের রাজ্য সভাপতির যাতে শীঘ্রই নিয়োজিত হয় সেই আবেদন জানান। এছাড়াও, বিজেপিকে বাংলায় ভাগ্য ঘওরাতে হিন্দু ভোটকে পাখির চোখ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন।

Advertisement
প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথাগত রায় প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথাগত রায়

রাজ্যে বিজেপির লাগাতার পতন ও বারবার ভোটে হার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথাগত রায়ের। তিনি দাবি করেন, পার্ট টাইম সভাপতি দিয়ে দল চলছে, যিনি কিনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। পূর্ণ-সময়ের রাজ্য সভাপতির যাতে শীঘ্রই নিয়োজিত হয় সেই আবেদন জানান। এছাড়াও, বিজেপিকে বাংলায় ভাগ্য ঘওরাতে হিন্দু ভোটকে পাখির চোখ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন।

সম্প্রতি উপ-নির্বাচনের পর, তৃণমূল কংগ্রেস ছয়টি আসনেই জয়লাভ করে। এতে প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় প্রকাশ্যে বিজেপির কৌশল নিয়ে তাঁর অসন্তোষ ও হতাশা প্রকাশ করেন। যা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে।

তাঁর প্রথম অভিযোগ হল, রাজ্য বিজেপির জন্য একজন পূর্ণকালীন রাজ্য সভাপতির অভাব। তিনি বলেন, যেখআনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় স্তরে রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবে কাজ করছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি পরিচালনার জন্য অপর্যাপ্ত। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে দলের দায়িত্ব কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না। ইন্ডিয়া টুডেকে একটি সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, "এটা অকল্পনীয় যে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে বিজেপি একজন পার্ট টাইম সভাপতি দিয়ে কাজ করাচ্ছেন..." এবং এর জন্য বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে দায়ী করেছেন।

আরও পড়ুন

সংখ্যালঘু ভোটের ইস্যুতে তথাগত সবলেন, তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে বিজেপিকে ৩৩% সংখ্যালঘু ভোট থেকে সমর্থন আদায় করার চেষ্টা করার পরিবর্তে হিন্দু ভোটারের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। তাঁর বিশ্বাস বিজেপির শক্তি হিন্দু ভোটারদের একত্রিত করা, যা রাজ্যের জনসংখ্যার ৬৭%।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে

বিজেপি নেতা তথাগত রায় বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে ব্যর্থ তৃণমূল। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশি মুসলমানদের রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে তৃণমূল, যে কারণে তাদের ভোট শেয়ার বেড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, তাঁর সরকার এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করছে না। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন অন্যান্য রাজ্যগুলি এই সমস্যা মোকাবিলায় দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে তা নয়। কারণ তৃণমূল এটিকে ভোটার বেস বাড়াতে নীতি হিসাবে দেখে।

Advertisement

Advertisement