Suvendu Adhuikary On Mamta Banerjee: হিঙ্গলগঞ্জে শীতবস্ত্র নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর ধরনার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সরকারি বিজ্ঞপ্তির প্রতিলিপি ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি দাবি করেছেন ওইদিন শীতবস্ত্র বিতরণের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা আসলে পুরনো স্মৃতি রোমন্থন বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। চাকরিপ্রার্থীদের ধরনায় বসতে দেখে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বিরোধী থাকার সময়কে মিস করেছেন। তাই তিনি হিঙ্গলগঞ্জে শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়ে সামান্য অজুহাতে ধরনায় বসে পড়েছেন। এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কী বললেন শুভেন্দু?
শুভেন্দু তাঁর নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, "আসলে সারা রাজ্য জুড়েই চাকরিপ্রার্থীদের ধরনায় বসতে দেখে উনি আর নিজেকে আটকাতে পারছিলেন না। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন পুরোনো দিনের স্মৃতি খুব মনে পড়ছিল হয়তো। তাই একটা অজুহাত খুঁজছিলেন ধরনায় বসার। সামনে আবার পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। হঠাৎ করে ফন্দি আঁটা হয়ে গেল ! ডিএম, বিডিও কে বলির পাঁঠা করলে অসুবিধে কোথায় ! এমনিতেই সরকারি আমলারা ওনার সামনে ঝুঁকতে ঝুঁকতে শিরদাঁড়া এত বাঁকিয়ে ফেলেছেন যে, সামান্য তিরস্কার করলেও, সেটা যদি প্রাপ্য নাও হয়ে থাকে তাহলেও টুঁ শব্দটি করবেন না। তাহলে একটু বকা ঝকা করে ধরনায় বসে যাওয়া যাবে।"
সরকারি বিজ্ঞপ্তির ছবি পোস্ট
যে বিজ্ঞপ্তির শুভেন্দুবাবু পোস্ট করেছেন, তাতে নভেম্বর ২৬ তারিখের এই বিজ্ঞপ্তি, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের দফতর থেকে এডিএম সাহেবের পাঠানো বলে দবি করা হয়েছে। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের, হাসনাবাদের, মিনাখাঁর, সন্দেশখালি- ১ ও সন্দেশখালি - ২ এর বিডিও সাহেবদের যে জেলার গোডাউন (মালগুদাম) থেকে এই কম্বল ও শীতবস্ত্র গুলি ২৮ নভেম্বর সংগ্রহ করতে হবে এবং ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর নিজের ব্লকের মধ্যে অবস্থিত পঞ্চায়েতগুলিতে বসবাসকারী প্রান্তিক জনগণকে বিলি করতে হবে। ২৯ নভেম্বর তা বিলির কোনও পরিকল্পনা ছিল না।
শুভেন্দুর দাবি
মুখ্যমন্ত্রী যে ২৯ তারিখ মঞ্চ থেকে শীতবস্ত্র বিলি করবেন, তা জেলা প্রশাসন জানত না? এটা হতে পারে? যেখানে পুরো রাজ্য নবান্নর ১৪ তলার অঙ্গুলিহেলনে চলছে, সেখানে প্রশাসনিক অনুষ্ঠানের কার্য্যক্রম জেলাশাসককে জানিয়ে রাখেনি মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়? মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থলে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের আধিকারিকরাও উপস্থিত থাকেন। তাই জেলা প্রশাসনের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি না জানা কার্যত অসম্ভব বলে দাবি তাঁর।
গোটাটাই নাটক বলে দাবি
আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গরীব ও প্রান্তিক মানুষদের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী ধর্না দিচ্ছেন এই নাটক-টা হঠাৎ উনি বানিয়ে ফেলেন ও মঞ্চস্থ করলেন। তা সে ধর্না নিজের প্রশাসনের বিরুদ্ধেই হোক না !মাননীয়া যদি সরকারে থেকে বিরোধী নেত্রী সত্তার অভাব অনুভব করছেন, তাহলে ওনাকে বলব যে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। আপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে আবার বিরোধী নেত্রী বানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করবো আমরা।