হেরে গিয়েছেন বিধানসভা ভোটে। আর তারপরেই রাজ্যসভায় ফের স্বপন দাশগুপ্তকে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এর মাঝেই এবার শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানাল তৃণমূল। এই নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে ইতিমধ্যে চিঠিও পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে শিশির ও সুনীল দল ছাড়লেও কেউই সাংসদ পদ ছাড়েননি। তাই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
গত লোকসভায় পূর্ব বর্ধমান থেকে তৃণমূল টিকিটে সাংসদ হন সুনীল মণ্ডল। শুভেন্দু দল ছাড়ার পর তিনিও বিজেপিতে যোগ দেন। অন্যদিকে শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীও ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনিও দল ছাড়লেও কাঁথির সাংসদ পদ ছাড়েননি। তাই নিয়েই এবার সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের দলীয় প্রতীকে সাংসদ হয়ে অন্য দলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আর তাই বর্ষীয়াণ শিশিরবাবু ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজ হোক চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকার ওম বিড়লাকেও চিঠিও দিয়েছেন। দলত্যাগ করায় শিশির ও সুনীলের সাংসদ হিসাবে থাকার কোনও বৈধতা নেই বলেই যুক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের। এদিকে মঙ্গলবারই স্বপন দাশগুপ্তকে রাজ্যসভায় ফিরিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সেই প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলের প্রশ্ন তাহলে শিশির-সুনীলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে কেন পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? পিটিশনে কেন সাড়া দিচ্ছেন না স্পিকার?'
স্বপ্নন দাশগুপ্তকে ফের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়া হল
বিধানসভা নির্বাচনে তারকেশ্বরে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। সেই সময় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল স্বপন দাশগুপ্তর প্রার্থীপদ এবং রাজ্যসভার সদস্যপদ নিয়ে। যারপর তিনি রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তবে নির্বাচনে জিততে পারেননি স্বপনবাবু। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়েছে স্বপন দাশগপপ্তকে। নিজের বাকি মেয়াদ, অর্থাত্ ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্বপনবাবুকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল শিবির। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রাষ্ট্রপতির অফিসকে ব্যবহার করে স্বপন দাশগুপ্তকে ফের রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস।