প্রাথমিকের টেট উত্তীর্ণদের (২০১৪ সাল এবং ২০১৭ সালের প্রাথমিক উত্তীর্ণ প্রার্থীদের) প্রথম-অষ্টম পর্যায়ের ইন্টারভিউ সম্পন্ন হয়েছে। এবার নবম দফায় ইন্টারভিউয়ের দিনক্ষণ ঘোষণা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এই রাউন্ডে ঝাড়গ্রামের পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০-৩১ মার্চ ও ১-৩ এপ্রিল হবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নবম দফার ইন্টারভিউ। সকাল ১০টা থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের ইন্টারভিউ শুরু হবে।
এদিকে চাকরিপ্রার্থীরা চাইলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পোর্টাল থেকে 'কল লেটার' ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
ইন্টারভিউয়ের গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি হবে। স্বচ্ছতার বজায় রাখার জন্যই এই পদক্ষেপ। এর আগের দফার ইন্টারভিউয়েরও ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছিল। এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্যে পরীক্ষকদের ল্যাপটপ দেওয়া হবে। পরীক্ষকরা সরাসরি চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর সেই ল্যাপটপে দেবেন। এর ফলে পরবর্তীতে নম্বর সংশোধনের কোনও সুযোগ থাকবে না। এই নম্বর অনলাইনে পর্ষদের কাছে পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন-এবার থেকে ৪ বছরের গ্র্যাজুয়েশন? জরুরি তথ্য
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষাতেও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। আদালতে ১৩৯ জন চাকরিপ্রার্থী দাবি করেন, লিখিত পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছেন এমন অনেকে লিখিত পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়েছেন। আবেদনের ভিত্তিতে মামলাকারীদের মৌখিক পরীক্ষা ও অ্যাপটিটিউট টেস্টের নম্বর প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই আবহে স্বচ্ছতা বজায় রাখার ওপর জোর দিচ্ছে পর্ষদ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হয়েছে। প্রায় সাত লাখ প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ৫ বছরের অপেক্ষার পর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর কলকাতা জেলার ২০০ জন পরীক্ষার্থীর প্রথম পর্যায়ের ইন্টারভিউ হয়েছিল।