রাজ্যে প্রথম করোনার (Corona) ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে (Omicron) আক্রান্তের খোঁজ মেলার পরই নড়েচড়ে বসল রাজ্য প্রশাসন। বুধবার ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে মুখ্য সচিব একটি নির্দেশিকা জারি করেন, যেখানে আগামী ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত করোনার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ জারি রাখা হবে। আগে ১৫ ডিসেম্বর এই বিধি নিষেধ শেষ হওয়ার তারিখ ছিল।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু যেমন চলছিল তেমনই চলবে। তবে ২৪ ডিসেম্বর থএকে পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত বড়দিন উপলক্ষে এই নিয়মে খানিকটা ছাড় দেওয়া হবে। দোকানপাট, পানশালা, রেস্তোরাঁ, সিনেমাহল ইত্যাদি নির্দিষ্ট বিধি মেনে যেমন খোলা ছিল তেমনই থাকবে। বড় দিন পলক্ষে তার সময় কিছু বাড়ানো হতে পারে। তবে সব জায়গায় কোভিড বিধি মেনেই উৎসব পালন করতে হবে।
পরিস্থিতি বুঝে এই নিয়মে বদল আনা হতে পারে, এমনটাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। গোটা সময়ে ডিজ্যাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৫ এবং কোভিড-19 রেগুলেশন্স ২০২০ বলবৎ থাকবে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
করোনা ভাইরাস (Corona) মানুষের জীবনে অজস্র সমস্যা ডেকে এনেছে। তা যেন আর শেষ হচ্ছে না। বিড়ম্বনা বাড়িয়ে হদিশ মিলেছে তার নয়া প্রজাতির। যা উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে। কোন পথে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে দিশেহারা অবস্থা চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের প্রজাতি ডেল্টার থেকেও ভয়াবহ নয়া এই ওমিক্রন প্রজাতি (Omicron)। ডেল্টার থেকে তিনগুণ ক্ষতিকারক ওমিক্রন। তা কী করে সামলানো যাবে? আসুন জেনে নিই বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে কী বলছেন।
সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ ডা. চন্দ্রকান্ত লহরিয়া জানান, যে কোনও প্রজাতির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন নিশ্চিত রূপেই কাজ করে। তার মানে হল টিকা নেওয়া এক ব্যক্তি টিকা নেননি এমন একজন মানুষের থেকে বেশি নিরাপদ। এ কথা বলা যেতেই পারে। তিনি আরও জানাচ্ছেন, পুরো সুরক্ষার জন্য টিকার দু'টো ডোজই দরকার। যাঁরা এখনও পর্যন্ত একটি ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের দু'টি ডোজ নেওয়া দরকার। তাড়াতাড়ি এটা সেরে ফেলা দরকার। তিনি আরও জানাচ্ছেন, দেশে এখনও পর্যন্ত ১৫ শতাংশ মানুষ এমন আছেন, যাঁরা করোন টিকার কোনও ডোজই পাননি। মানুষকে এ ব্যাপারে সতেচন করতে হবে।