বাড়িমালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে ঝামেলা, বিবাদের খবর মাঝেমধ্যেই সামনে আসে। তবে এই বিবাদ একেবারে ভোটযুদ্ধের। আসলে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া। আর তাই এখন হুগলির মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে।
গত ৪ বছর ধরে চন্দ্রিমা সরকারের বাপের বাড়িতে ভাড়া থাকেন জুঁই পাণ্ডে। এই চন্দ্রিমাকে এবার ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে শাসকদল তৃণমূল। অন্যদিকে জুঁই পাণ্ডে আবার BJP প্রার্থী। টিকিট পেয়ে দুইজনই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন ভোটযুদ্ধে। ভাড়াটিয়া ও বাড়ি মালিকের মধ্যে সু-সম্পর্ক থাকলেও ভোটযুদ্ধে কেউ যে কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বেন না, তা কার্যত পরিষ্কার করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ঋদ্ধিমানকে কেন অবসরের কথা বলেছিলেন? মুখ খুললেন দ্রাবিড়
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ছিল তৃণমূলের দখলে। তবে গতবারের কাউন্সিলর এলাকায় সেইভাবে আসতেন না বলে অভিযোগ। তাই তাঁকে বাদ দিয়ে চন্দ্রিমা সরকারকে প্রার্থী করেছে TMC। হুগলি মহসীন কলেজ থেকে আইনে স্নাতক চন্দ্রিমা। জানালেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনপ্রেরণা বলে মনে করেন। বছর দুয়েক আগে থেকে রাজনীতি করছেন। তবে দলের অনুগত সৈনিক হিসেবেই কাজ করতে চান।
চন্দ্রিমাদেবীর শ্বশুরবাড়ি ও বাপেরবাড়ি একই ওয়ার্ডে। তাঁর বাপের বাড়িতেও খোলা হয়েছে দলীয় কার্যালয়। আর সেই বাড়িতেই ভাড়া থাকেন BJP-র জুঁই পাণ্ডে। তাঁর সমর্থনেও সেখানে খোলা হয়েছে নির্বাচনী কার্যালয়।
জুঁইদেবীর লেখাপড়া কলকাতায়। ৪ বছর ধরে এখানেই থাকেন তিনি। তবে তিনি বিজেপির সমর্থক ও কর্মী হিসেবে আগে থেকেই পরিচিত ছিলেন।
চন্দ্রিমাদেবী বললেন, 'বাড়িতে আমাদের মধ্যে কোনও লড়াই নেই। লড়াই হবে ভোটের ময়দানে। আগামী ২৭তারিখ মানুষ রায় দেবে। দিদির উন্নয়নে ভরসা করে নিশ্চিত লড়াইয়ে আমিই জিতব।' বাড়িমালিক একথা বললেও ভাড়াটিয়া জুঁই পাণ্ডের দাবি, জিতবেন তিনিই। তবে তাঁদের মধ্যে কোনও মনোমালিন্য নেই।
আরও পড়ুন : "দালালির জন্য অনেককে পাওয়া যায়", আইপ্যাককে ফের তোপ কল্যাণের
চন্দ্রিমার জ্যাঠতুতো দিদি ঝুমা ব্যানার্জি বলেন, 'একজন আমার রক্ত, আর একজন আমার হৃদয়। আগামি ২৭তারিখ আমার রক্ত আর হৃদয়ের লড়াই। এখানে একটাই কথা বলব "অল দ্য বেস্ট, ফর বোথ দ্য ক্যান্ডিডেটস্!'
যাইহোক, এই দুই প্রার্থীর লড়াই এখন ওই এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। স্থানীয়রা বলছেন, বাড়িমালিক ও ভাড়াটিয়ার এই লড়াই বেশ মুখরোচক। তাঁরা দেখছেন ও ভালোই লাগছে। এখন দেখার কে শেষ হাসি হাসেন।