বৃষ্টি বাড়তে পারে। চলতে পারে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এমনিতেই শহর কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। আর ২৬ তারিখ পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চললে জল আরও বাড়বে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখে বিপর্যয় মোকাবিলায় আপৎকালীন বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
বুধবারের বৈঠকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জেলাশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সেচ দফতরের আধিকারিক ও পুরসভার কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। প্রতিটি জেলার মধ্যে সুসংহত ব্যবস্থা তৈরি রাখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : 'অ্যারেস্ট করব, যান বলছি', ভবানীপুরে 'দাবাং' IPS
কী কী নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব ?
নবান্ন সূত্রে খবর, ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নদী বা সমুদ্রের তীরে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রাণহানি যেন না হয়,সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
আবহাওয়া যেন ভোটে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়
বিশেষ করে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট রয়েছে যে এলাকায় সেখানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মুখ্যসচিবের। মুর্শিদাবাদ ও কলকাতা জেলার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র-সহ স্ট্রং রুমের জন্য। ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিবেক কুমারকে মুখ্যসচিব আলাদা করে নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, বৈঠকে বিবেক কুমারকে মুখ্যসচিব বলেছেন, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কোথাও যেন এতটুকু জল না জমে। এই দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। ভবানীপুর কেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটি নিচু এলাকা রয়েছে। সেইসব এলাকার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ কমিশনারকে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। ভবানীপুর কেন্দ্রের কথা মাথায় রেখে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও স্ট্যান্ডবাই রাখার নির্দেশ মুখ্যসচিবের।
আরও পড়ুন : মমতার পাড়ায় সুকান্তকে বাধা, 'ভয় পেয়েছেন দিদি', বলছে BJP
এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে আলাদা করে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব বলেন এই দুই জেলা যেহেতু সমুদ্র উপকূলবর্তী, তাই এই দুই জেলার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। মুখ্যসচিবের নির্দেশ, যদি আবহাওয়া দফতর কমলা সতর্কতা জারি করে, তাহলে আপনারা নিজ নিজ জেলায় লাল সতর্কতা জারি করে কাজ করুন। ত্রাণ শিবিরগুলোতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও ওষুধ এখন থেকেই মজুত করে রাখার জন্য জেলাশাসকদের বলেছেন মুখ্যসচিব। সেচ দফতরকে নদীবাঁধগুলোর দিকে সতর্ক নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।