অনেকেই শখ করে পুরনো জিনিস জমান। শখ অনুযায়ী, এই জমানোর তালিকাও থাকে বিভিন্ন রকমের। তবে যাদের এই শখ রয়েছে তারা কেউ কি কখনো টয়লেট সিট জমানোর কথা ভেবেছেন? এবার কিন্তু নিলাম হল জমিয়ে রাখা টয়লেট সিট। তাও আবার মোটা টাকার বিনিময়ে! তবে এই টয়লেট সিট কোনো সাধারণ টয়লেট সিট নয়। সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি এই সিটটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অ্যাডলফ হিটলার ব্যবহার করেছিলেন। আর তার জন্যই এটি নিলামে উঠেছে।
এই টয়লেট সিটের নিলাম শুরু হয়েছিল ৫ হাজার ডলার থেকে। আশা করা হয়েছিল যে এর দাম ১৫ হাজার ডলারে পর্যন্ত যেতে পারে। কিন্তু সেটি শেষপর্যন্ত নিলাম হল ১৯ হাজার ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম ১৩ লক্ষ টাকা।
বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এই টয়লেট সিটটি বহু বছর আগে হিটলারের একটি ব্যক্তিগত স্নানাগার থেকে চুরি করেছিলেন একজন আমেরিকার সেনা। এই সিটটি বারগফে রাখা ছিল। রাগনভাল্ড বোর্চ নামের ওই আমেরিকান সেনা জানান, তাকে এ বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ওই জায়গা থেকে তিনি যা চান নিয়ে যেতে পারেন। তখন তিনি আগে ওই কাঠের টয়লেট সিটটি নেন। যা বেভারিয়ান আল্পসে হিটলারের ব্যক্তিগত স্নানাগারে রাখা ছিল। জানা যায়, টয়লেট সিট নিয়ে যেতে দেখে, তাকে বাকি সেনা জওয়ানরা প্রশ্ন করেছিলেন, কেন এই কাজ করছেন? বোর্চ তাতে উত্তর দেন, যেখানে হিটলার মল ত্যাগ করতেন, সেটাও ঐতিহাসিক!
টয়লেট সিটটি এর পর তিনি নিজের নিউ জার্সির বাড়িতে নিয়ে যান এবং বাড়ির নিচে এটিকে সাজিয়ে রাখেন। এবার এই সিটটিকেই তার পরিবারের লোক নিলামে তুলল। আলেকজান্ডার অকশন নামে একটি সংস্থার এই নিলাম পরিচালনা করেন। সংস্থার তরফে টয়লেট সিটটির বিবরণে বলা হয়েছে, এটি হিটলারের পর থেকে আর কখনো কেউ ব্যবহার করেননি। এটি সম্পূর্ণ কাঠের ও পিছনে দু'টি স্টিলের হুক আছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিনগুলিতে হিটলারের মৃত্যুর পরে মার্কিন সেনাবাহিনী বের্কেসেগডেনে পৌঁছেছিল। পাহাড়ের মাঝে সমভূমিতে অবস্থিত এই বাড়িতে মাঝে মাঝে ছুটি কাটাতে আসতেন হিটলার। জানা যায় হিটলারের এই টলটে সিটটি সাদা রঙের, যার প্রস্থ ৪৫ ইঞ্চি। এই টলটে সিটের সঙ্গে হিটলারের কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিলাম করা হয়েছে। এর মধ্যে হিটলারের শেভিং মগ এবং মিউনিখ অ্যাপার্টমেন্ট তাঁরএকটি প্রতিকৃতি রয়েছে। এছাড়াও হিটলারের ব্যক্তিগত হেয়ারব্রাশও ইউএস প্যারাসুট রেজিমেন্টের এক সৈনিকের হাতে লুট হয়েছিল। এই হেয়ার ব্রাশে থাকা হিটলারের কিছু চুলও নিলাম হয়েছে।