আইসক্রিমের ভেতরে লুকিয়ে করোনার ভাইরাস! চিনে ঘরে ঘরে শুরু তল্লাশি

নতুন করে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে  চিনের হুবেবেই প্রদেশে। প্রশাসন জানিয়েছে, আগের থেকে অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নতুন করোনার ঢেউ। আরও আতঙ্কের খবর, ভাইরাসের ক্লাস্টার নতুন করে বেজিংয়েও পাওয়া গিয়েছে। 

 গত বছর শুরু থেকে করোনা সংক্রমণ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে, ঠিক এক বছরের মাথায় ফের নতুন ঢেউ আক্রমণ করছে চিনকে।

এরমধ্যেই ঘটে গেল আরেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এবার চিনে আইসক্রিমের মধ্যে পাওয়া গেল করোনাভাইরাসের জীবাণু। 

ইতিমধ্যে ওই ব্যাচের আইসক্রিমের সমস্ত কার্টন প্রত্যাহার করা হয়েছে। বেজিংয়ের পাশে তিয়ানজিনের দাকিয়াওদাও ফুড কোম্পানি লিমিটেডকে এই ঘটনার পর সিল করে দিয়েছে চিনা প্রশাসন। 

আইসক্রিম কারখানার  কর্মীদের চলছে করোনা পরীক্ষা। এখান থেকে তৈরি আইসক্রিম থেকে কারও শরীরে করোনা ছড়িয়েছে বলে এখনও প্রমাণ মেলেনি বলে চিন সরকার দাবি করেছে। 

চিনা প্রশাসনের দাবি আইসক্রিম ভর্তি ওই ব্যাচের ২৯ হাজার কার্টনের বেশিরভাগ এখনও বিক্রি হয়নি। তিয়ানজিনে বিক্রি হয় ৩৯০ কার্টন আইসক্রিম, সেগুলি খুঁজে বার করা হয়েছে, যে সব এলাকায় সেগুলি বিক্রি হয়েছে, সেখানকার প্রশাসনকে সে ব্যাপারে খবর দেওয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ড থেকে আনা গুঁড়ো দুধ আর ইউক্রেন থেকে আনা ঘোলের গুঁড়ো থেকে এই আইসক্রিম তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ বিদেশ থেকে আনা খাবার থেকে তাদের দেশে করোনা জীবাণু আসছে বলে ফের বোঝাতে চাইছে চিন। 
 

দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা জিয়াওবেই এক সরকারি অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেছেন, করোনা জীবাণু আসছে বিদেশ থেকে, মূলত বিদেশি পর্যটক এবং হিম ঘরের রফতানিকৃত জিনিসপত্র থেকে। কিন্তু যেভাবে আইসক্রিম তৈরি হয়, তাতে তা থেকে করোনা কীভাবে ছড়ানো সম্ভব তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা ধন্দে রয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে কোনওদিন করোনা শূন্য হবে না পৃথিবী। ভাইরাসে উৎপত্তিস্থল চিনে গিয়ে এমনটাই পর্যবেক্ষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের। দিন কয়েক আগে চিনে গিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। সেখানেই একথা জানান তাঁরা। শুধু তাই নয়, প্রতিনিধি দলের মধ্য দুজন ইতিমধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।