গাঁজা উপকারি না ক্ষতিকর— এই নিয়ে আজও বিতর্কের শেষ নেই! বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত গাঁজা নিয়ে তো কম গবেষণা হয়নি! তবুও এ বিষয়ে মতভেদ থেকেই গিয়েছে। কিন্তু তাই বলে রান্নার স্বাদ আর গুন বাড়াতে মেশানো হচ্ছে গাঁজা!
ঠিকই দেখেছেন। রান্নায় গাঁজা পাতা মেশাচ্ছে তাইল্যান্ডের রেস্তরাঁ। সে দেশের রেস্তোরাঁয় গাঁজা পাতা মেশানো বিশেষ পদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যাপি মিল’। এই বিশেষ ‘হ্যাপি মিল’ নাকি রেস্তোরাঁয় আসা ক্রেতাদের খুসি করতেই বানানো হচ্ছে!
তাইল্যান্ডের প্রাচীন বুড়ি এলাকার চাও ফ্যা অভিভুবাঝর হাসপাতালের (Chao Phya Abhaibhubejhr Hospital) রেস্তরাঁয় পাওয়া যাচ্ছে গাঁজা মেশানো নানা স্বাদের ‘হ্যাপি মিল’। ডিপ ফ্রায়েড ব্রেড, পর্ক স্যুপ, পাঁচমিশালি সবজির স্যুপ— সবেতেই থাকছে গাঁজা পাতা। এর সঙ্গে আলাদা করে গাঁজা পাতার ভাজা তো আছেই।
ভাবছেন মাদক মেশানো খাবারের ব্যবসা কী ভাবে রমরমিয়ে চলছে তাইল্যান্ডের হাসপাতালের রেস্তরাঁয়? আসলে ২০১৭-এ তাইল্যান্ড চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাঁজার ব্যবহারের অনুমতি দেয়। তারপর থেকে নিষিদ্ধ মাদকের তালিকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় গাঁজার নাম।
চাও ফ্যা অভিভুবাঝর হাসপাতালের (Chao Phya Abhaibhubejhr Hospital) চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গাঁজা বেদনা নাশক। রান্নায় গাঁজা পাতার ব্যবহারে খিদে বাড়ে, ভাল ঘুমও হয়। একই সঙ্গে গাঁজা মেশানো নানা স্বাদের ‘হ্যাপি মিল’ মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সহায়ক।
চাও ফ্যা অভিভুবাঝর হাসপাতালের (Chao Phya Abhaibhubejhr Hospital) রেস্তরাঁয় আসা ভোজনরসিকরা গাঁজা মেশানো নানা পদের ‘হ্যাপি মিল’ খাচ্ছেন চেটেপুটে। কেউ বলছেন, গাঁজা মেশানোয় রান্নার স্বাদ খুলেছে, কারও মতে স্বাদে বিশেষ ফারাক না হলেও ফল বেশ তৃপ্তি দায়ক!