scorecardresearch
 
Advertisement
বিশ্ব

মানুষ না থাকলে পৃথিবীটা কেমন হত? দেখুন PHOTOS

প্রতীকী ছবি
  • 1/18

পৃথিবীতে ৮৭ লক্ষ প্রজাতির প্রাণীর বাস। তার মধ্যে রয়েছে মানুষও। বিশ্বের প্রাণীকুলের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমানই হল মনুষ্যজাতি। এই পৃথিবীতে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, কলকারানা সবই মানুষের সৃষ্টি। এই সমস্ত কাজের মধ্যে দিয়েই মানুষ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু কখনও কি এটা ভেবে দেখছেন পৃথিবীতে যদি মানুষ না থাকত তাহলে বিষয়টা কেমন হতো? (সমস্ত ছবি সূত্র-গেটি)
 

প্রতীকী ছবি
  • 2/18

এই বিষয়ে একটি ছবি তৈরি করেছেন বৈজ্ঞানিকেরা। যেখানে মানুষকে সামিল করা হয়নি। এখানে এমন কিছু প্রাণীকে রাখা হয়েছে, যাদের হয় মানুষ কোনওদিন দেখেনি, নয়তো দেখেছে। অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তথা জীবাশ্মবিদ ট্রেভর ভার্ডি জানাচ্ছেন, যদি পৃথিবীতে মানুষ না থাকতো তাহলে তা আরও আকর্ষণীয় হত এবং সেখানে আরও বেশি পরিমান জীবজন্তু দেখা যেত। সেগুলি ডাইনোসর বা হাঙরের মতো বড়ও হতে পারত।
 

প্রতীকী ছবি
  • 3/18

যদি আমরা এটা ভাবি যে পৃথিবীতে মানুষ না থাকলে কী হত? এর জবাবে ট্রেভর ভার্ডি জানাচ্ছেন, তাহলে এখনও মানুষের পূর্ব পুরুষরা পৃথিবীতে থাকত। কারণ মানুষ বর্তমান পৃথিবীকে তৈরির জন্য বহু প্রজাতির জীবজন্তুর ধ্বংসসাধন করেছে। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 4/18

বেশিরভাগ পরিবেশবিদ মনে করেন যদি পৃথিবীতে বর্তমান মানুষের জন্ম না হত তাহলে অন্যান্য জীবজন্তুর ধ্বংস হওয়ার পরিমান ১০০ শতাংশ কমে যেত। মানুষের কারণে এমন কিছু কিছু প্রজাতির প্রাণীর অবলুপ্তি ঘটেছে যাদের বিষয়ে আমরা শুনিনি পর্যন্ত। যেমন ৬.৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে উড়ন্ত ডাইনোসর ছিল বলে জানা যায়। 

প্রতীকী ছবি
  • 5/18

ট্রেভর ভার্ডি জানাচ্ছেন, মানুষ না থাকলে এই বিশ্বে আরও জীবজন্তুর সমাগম হত। যেমন প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগে নিউজিল্যান্ডে ১১.৮ ফুটের উটপাখি ছিল। কিন্তু ৭৫০ বছর আগে মোয়ার ৯টি প্রজাতিই শেষ হয়ে যায়। 
 

প্রতীকী ছবি
  • 6/18

ট্রেভর আরও জানান, মোয়া ছাড়া ২৫টি আরও মেরুদণ্ডী প্রজাতির প্রাণীও ধ্বংস হয়ে যায়। তার মধ্যে রয়েছে জায়েন্ট হাস্ট ইগল। কারণ জায়ন্ট হাস্ট ইগল মোয়ার শিকার করত। কিন্তু মোয়া ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় খাদ্য না পেয়ে সেই প্রজাতির ইগলও ধ্বংস হয়ে যায়। 

প্রতীকী ছবি
  • 7/18

সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যার সিনিয়র লেকচারার সোরেন ফোরবি বলেন, মানুষের আগমনের পর বহু স্তন্যপায়ী প্রাণীও বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এই স্তন্যপায়ী প্রাণীরা হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে ছিল। তিনি একটি গবেষণাও করেছিলেন। সেই গবেষণায় পৃথিবীকে মনুষ্য ছাড়া কল্পনা করা হয়। তাতে আফ্রিকার ইকোসিস্টেম সেরেনগেটি পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাতে সমস্ত জীবজন্তু একসঙ্গে বসবাস করে। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 8/18

সেরেনগেটিতে লোমযুক্ত হাতি, গন্ডার, সিংহ সবাই ইউরোপে একসঙ্গে বসবাস করছে এমনটা কল্পনা করা হয়েছিল। ১২ হাজার বছর আগে ইউরোপে গুহায় বসবাসকারী সিংহ ছিল। 
 

প্রতীকী ছবি
  • 9/18

সোরেন ফোরবি আরও জানাচ্ছেন, মানুষ পৃথিবীতে না থাকলে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণীরা যেমন লোমযুক্ত হাতি, বড় গন্ডার পৃথিবীতে থাকত। কিন্তু মানুষ চাষাবাদের জন্য জঙ্গল কেটে ফেলায় প্রাণীরা মারা যায়। তবে তারা বেঁচে থাকলে অবশ্য গাছপালার ওপর দিকের সমস্ত পাতা খেয়ে ফেলত। 

প্রতীকী ছবি
  • 10/18

মেগাফনা হাতি হিমযুগে পৃতিবীর বুকে ঘুরে বেড়াত। কিন্তু হিমযুগ শেষ হতেই এই ধরণের বড় প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটে। আর যারা বেঁচে গিয়েছিল তাদের আকার ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যায়। 
 

প্রতীকী ছবি
  • 11/18

এই বছর নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উলি ম্যামথের মৃত্যু হয়। কারণ জলবায়ুর ওই পরিবর্তন তারা সহ্য করতে পারেনি। তাছাড়া মানুষও ম্যামথের শিকার করে। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 12/18

উত্তর অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোসিস্টেম ইকোলজিস্টের সহযোগী অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ডটি জানাচ্ছেন, বড় জীবজন্তুরা খাবার ও মলের মাধ্যমে গাছপালার বীজকে এক জায়গা থেকে অন্যত্র পৌঁছে দিত। কিন্তু এখন আর অত বড় জীবজন্তু না থাকায় বীজের স্থানাস্তরও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। 

প্রতীকী ছবি
  • 13/18

ক্রিস্টোফার আরও জানাচ্ছেন, মানুষ না থাকলে পৃথিবীতে খনিজ ও বীজের স্থানান্তর বেশি ভাল করে হত। তাতে মাটি আরও উর্বর হত এবং তার জেরে যে বাস্তুতন্ত্র তৈরি হত তা অনেকবেশি উৎপাদনশীল হত। 

প্রতীকী ছবি
  • 14/18

তাছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়নও ধ্বংসসাধন করেছে। বিংশ শতাব্দী থেকে এখনও মানুষের কাজকর্মের জন্য বিশ্বের উষ্ণতা ১ ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু মানুষ না থাকলে বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো সমস্যাই থাকতো না। 

প্রতীকী ছবি
  • 15/18

তবে বৈজ্ঞানিকেরা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি যে ৪০ হাজার বছর আগে কীভাবে নিয়ান্ডারথাল মানব শেষ হয়ে গেল। কারণ আধুনিক মানুষের ডিএনএ-র সঙ্গে নিয়ান্ডারথাল মানবের ডিএনএ-র মিল পাওয়া গিয়েছে। গবেষকদের ধারণা নিয়ান্ডারথাল মানবের ধবংসের নেপথ্যে আধুনিক মানুষের হাত থাকতে পারে। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 16/18

লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের অধ্যাপক ও গবেষক ক্রিস স্ট্রিংগার মনে করেন, নিয়ান্ডারথাল এবং হোমো সেপিয়েন্স যখন পৃথিবীতে একসঙ্গে ছিল, তখন সবচেয়ে বড় দ্বন্দ্ব ছিল উৎস নিয়ে। যদি সেই সময় ইউরোপে বর্তমান মানুষের আগমন না হত তাহলে এখনও পৃথিবীতে নিয়ান্ডারথাল মানব বেঁচে থাকত। 

প্রতীকী ছবি
  • 17/18

ক্রিস স্ট্রিংগারের মতে, ইউরোপে যখন সংঘর্ষ চলছিল তখন শুধু লড়াইতে পিছিয়ে পড়াই নয়, খাদ্য সমস্যাতেও পড়তে হয় নিয়ান্ডারথাল মানবকে। যার জের ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে চলে যায় তারা। 

প্রতীকী ছবি
  • 18/18

ক্রিস জানাচ্ছেন যে হোমো সেপিয়েন্সের মিলন ডেনিসোভানের সঙ্গে হয়েছিল। ফলে এই প্রজাতি বিবর্তিত হতে পেরেছে।
 

Advertisement