Advertisement
বিশ্ব

CECOT Prison: সূর্যের আলো ঢোকে না, পশুর মতো থাকে কয়েদিরা, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জেলের ভিতরের সব ছবি

  • 1/13

বিশ্বের সবচেয়ে খতরনাক জেল কোনটি জানেন? এমন একটি জেল, যেখানে সূর্যের আলো ঢোকে না। শহর থেকে বহু দূরে প্রত্যন্ত এলাকায় বিশাল জেল। এই জেলের প্রায় ৪ কিমি আগে থেকে মোবাইলের টাওয়ার চলে যায়। বাইরের জগতের সঙ্গে একেবারে বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক। 
 

  • 2/13

জেলটির নাম CECOT। এল সালভাদোরে এই মারাত্মক জেলের ভিতরের ছবি দেখলে গা শিউরে উঠবে। আমেরিকার ভয়ানক সব অপরাধীদের পাঠানো হয়। ক্ষমতায় এসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, এল সালাভাদোর সহ সেন্ট্রাল আমেরিকায় MS13-এর মতো নানা ক্রিমিনাল গ্যাংয়ের সদস্যদের আজীবন জেলে ভরা হবে। CECOT জেলে খতরনাক অপরাধীদের রাখা হয়। 
 

  • 3/13

২০২৩ সালে এল সালভাদোরের রাজধানী সান সালভাদোর থেকে অনেকটা দূরে প্রত্যন্ত এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল CECOT প্রিজন। এই জেলে সূর্যের আলো ঢুকতে পারে না। দাগী অপরাধীদের পশুর মতো রাখা হয় এই জেলে।  
 

Advertisement
  • 4/13

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত শত শত ভেনেজুয়েলান অভিবাসীকে এল সালভাদরের ভয়ঙ্কর মেগা-কারাগার CECOT-এ আটকে রাখা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা, ভয়াবহ বন্দিজীবন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এই কারাগার দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার দাবি করছে, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের অনেকেই ভয়ঙ্কর অপরাধী। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, তাদের বিচার ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছে, যা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
 

  • 5/13

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এল সালভাদর সরকার ৪০,০০০ কয়েদির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই মেগা-কারাগার চালু করে। রাজধানী সান সালভাদর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এই কারাগারটি অত্যন্ত কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত। প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে জানিয়েছেন, এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 

  • 6/13

এই কারাগার মূলত বুকেলের শূন্য-সহনশীলতা (Zero Tolerance) নীতি বাস্তবায়নের অংশ, যা তার সরকারকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। ২০২২ সালে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করার পর এখনও পর্যন্ত ৮৪,০০০-এর বেশি সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কুখ্যাত গ্যাং মারা সালভাত্রুচা (MS-13) এবং বারিও ১৮ (Barrio 18)-এর সদস্যরাও রয়েছে।
 

  • 7/13

সরকারি হিসেবে, ২০২৪ সালের অগাস্ট পর্যন্ত CECOT  কারাগারে ১৪,৫০০ বন্দি ছিল। তবে ২০২৫ সালের মার্চে একজন সরকারি মুখপাত্র জানান, এই সংখ্যা এখন আরও বেশি, কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না।

Advertisement
  • 8/13

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও এল সালভাদর সফরে গেলে প্রেসিডেন্ট বুকেলে প্রস্তাব দেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার হওয়া অভিবাসী অপরাধীদের CECOT  কারাগারে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর ১৫ মার্চ, ট্রাম্প প্রশাসন ২৬১ জন অভিবাসীকে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেয়। 
 

  • 9/13

এর মধ্যে ১৩৭ জনকে ১৭৯৮ সালের ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’ (Alien Enemies Act) অনুযায়ী ফেরত পাঠানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ (Tren de Aragua)-এর সদস্য। তবে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অপরাধের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এক মার্কিন কর্মকর্তা আদালতে দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানান, এই ১৩৭ জনের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই, তবুও তারা ‘গুরুতর হুমকি’ বলে বিবেচিত হয়েছে।

  • 10/13

এছাড়া অতিরিক্ত ১০১ জন ভেনেজুয়েলান অভিবাসীকেও CECOT  কারাগারে এক বছরের জন্য রাখা হয়েছে, যা প্রয়োজনে নবায়ন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এল সালভাদরকে ৬ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে এই বন্দিদের রাখার জন্য। এছাড়া, বাকি ২৩ জন সালভাদোরিয়ান নাগরিক, যাদের বিরুদ্ধে গ্যাং সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে, তারাও এই কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
 

  • 11/13

CECOT  কারাগারের ভেতরের চিত্র ভয়াবহ। বন্দিরা শুধু অন্তর্বাস পরে গাদাগাদি করে বসে থাকে। বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কাউকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। দিন-রাত কারাগারের ভেতরই কাটাতে হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্টার-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (IACHR) জানায়, সিসট কারাগারে বন্দিদের গড় জায়গা মাত্র ০.৬০ বর্গমিটার, যা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় অনেক কম।
 

Advertisement
  • 12/13

মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি করছে, ২০২২ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকে ৬,০০০-এর বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দি করা, নির্যাতন এবং সরকারি হেফাজতে ৩৬৬ জনের মৃত্যু অন্তর্ভুক্ত। তবে এল সালভাদর সরকার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
 

  • 13/13

CECOT  কারাগার নিয়ে মতবিরোধ তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন, এই কারাগার গ্যাং ও অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আর্জেন্টিনার নিরাপত্তা মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া বুলরিচ ২০২৪ সালের জুনে এক টুইটে লেখেন, 'এটাই সঠিক পথ। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।' 
 

Advertisement