scorecardresearch
 
Advertisement
বিশ্ব

২০৫০-এর মধ্যে ডুবতে পারে বেশ কয়েকটি শহর, ভয়াবহ রিপোর্ট NASA-র

প্রতীকী ছবি
  • 1/11

নাসার এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। সমীক্ষায় মূলত আমেরিকার কথা বলা হয়েছে। তবে তার প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বের ওপর। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০৫০-এর মধ্যে আমেরিকার প্রায় সমস্ত উপকূলবর্তী এলকাই সমুদ্রের নিচে চলে যাবে। এমনকী কোন উপকূল কতটা ডুববে তাও বলা হয়েছে সমীক্ষায়। আর এর প্রভাব পড়বে বেশকিছু দেশের ওপরে। 
 

প্রতীকী ছবি
  • 2/11

আর শুধু ডুবে যাওয়াই নয়, ছোটখাট ঝড়েও থাকবে বন্যার আশঙ্কা। ৩ দশকের স্যাটালাইট ডেটা বিশ্লেষণ করে করা হয়েছে সমীক্ষা। নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আমেরিকার উপকূল একফুট পর্যন্ত ডুবে যেতে পারে। অর্থাৎ জলস্তর বর্তমানে যেখানে আছে, তার চেয়েও এক ফুট বাড়তে পারে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উপসাগরীয় উপকূল এবং দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল। অর্থাৎ নিউইয়র্ক, সান ফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ভার্জিনিয়ার মতো উপকূলীয় অনেক রাজ্য সমস্যায় পড়বে। 

প্রতীকী ছবি
  • 3/11

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে ঝড়ের কারণে সমুদ্রিক বন্যা। এই গবেষণাটি সম্প্রতি কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। নাসার এই গবেষণায় অনেক বৈজ্ঞানিক সংস্থার স্টাডি রিপোর্টও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যাকে বলা হয় সি-লেভেল রাইজ টেকনিক্যাল রিপোর্ট। এতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ বছরে আমেরিকার উপকূলে শুধুই জল থাকবে।

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 4/11

আমেরিকার পূর্ব উপকূলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ থেকে ১৪ ইঞ্চি বৃদ্ধি পাবে। উপসাগরীয় উপকূলে তা বৃদ্ধি পাবে ১৪ থেকে ১৮ ইঞ্চি। পশ্চিম উপকূলে ৪ থেকে ৮ ইঞ্চি বাড়বে। এই গবেষণা করতে জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীদেরও সাহায্য নেওয়া হয়।

প্রতীকী ছবি
  • 5/11

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী জনাথন ওভারপেক বলেন, নাসা তাদের স্যাটেলাইট অল্টিমিটার দিয়ে সমুদ্রের পৃষ্ঠ পরিমাপ করেছে। তারপর NOAA টাইড গেজ রেকর্ডের সঙ্গে মেলায়। নোয়া গত ১০০ বছর ধরে এই তথ্য সংগ্রহ করছে। এর পরে, নাসা বুঝতে পারে যে তার গবেষণা ভুল নয়। অর্থাৎ আমেরিকার উপকূলের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে।

প্রতীকী ছবি
  • 6/11

জনাথন বলেন, নাসার গবেষণা বিস্ময়কর নয়। আমরা জানি যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দ্রুত বাড়ছে। এর কারণও জানা গেছে। যত বেশি মেরু বরফ গলব, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা তত বাড়বে। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে মেরু বরফ গলে যাচ্ছে। অর্থাৎ পৃথিবী ও সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাতাসও গরম হচ্ছে। সেজন্য গ্লোবাল ওয়ার্মিং হ্রাস করা প্রয়োজন।

প্রতীকী ছবি
  • 7/11

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির জলবায়ু বিজ্ঞানী ডেভিড হল্যান্ড বলেছেন, নাসার তথ্য সঠিক। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে উপসাগরীয় উপকূল। পূর্বাভাস অনুযায়ী সেখানে জল এক ফুট পর্যন্ত উঠবে। ফলে ভবিষ্যতে হারিকেন-ঝড়-ঘূর্ণিঝড়ের সময় আরও দুর্যোগ ডেকে আনবে। অর্থাৎ বিপদ ক্রমাগত বাড়ছে। 
 

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 8/11

১৮.৬ বছর পর, চাঁদের কক্ষপথের পরিবর্তন, এল-নিনো এবং লা-নিনার প্রভাব এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে আমেরিকার অনেক উপকূলীয় রাজ্য সামুদ্রিক বন্যার সম্মুখীন হতে চলেছে। অর্থাৎ আগামী ১৮.৬ বছরে সমুদ্র সৈকতের অবস্থা আরও খারাপ হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হবে। সমুদ্র এগিয়ে আসবে। এল নিনোর কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠ উষ্ণ হয়। যার কারণে ঝড়ের পরিমাণ বাড়বে।

প্রতীকী ছবি
  • 9/11

নাসার সি লেভেল চেঞ্জ টিমের প্রধান বেন হ্যামলিংটন বলেন, "এটাকে আমরা বড় কোনও চ্যালেঞ্জের চেয়ে কম মনে করছি না। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। গবেষণাটা শুধু আমেরিকার, কিন্তু এর প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বে। শুধু সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে না। এর সঙ্গে আরও অনেক ধরনের প্রাকৃতিক সমস্যাও বাড়বে। আমরা গত ত্রিশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করেছি। এরপর আজকের ভিত্তিতে আগামী ত্রিশ বছরের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, যা সঠিক এবং ভীতিকরও বটে।"

প্রতীকী ছবি
  • 10/11

ইংল্যান্ডের টিন্ডাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসার্চের পরিচালক রবার্ট নিকোলস বলেন, "আমরা এই গবেষণাটিকে উপেক্ষা করতে পারি না। উপকূলে বসবাসকারী মানুষকে বোঝাতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি দেশের সরকার ও প্রশাসনকে বোঝাতে হবে যাতে দূষণের মাত্রা কমানো যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। এই পরিবর্তন বিপজ্জনক হতে পারে। শুধু আমেরিকার কথা নয়, সারা বিশ্বে এর প্রভাব পড়বে।"
 

প্রতীকী ছবি
  • 11/11

মানুষকে বুঝতে হবে যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভয়াবহ বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। সেই জন্য পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা প্রয়োজন। কারণ এই পরিবর্তন সংশোধন করা মানুষের ক্ষমতায় বাইরে। ফলে আগামী প্রজন্মকে সমস্যায় পড়তে হবে।

 

আরও পড়ুন - আলু খেয়েও কমানো যায় ওজন, নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস, কীভাবে খেতে হবে?

Advertisement