নেপালে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছে। তবে রবিবার সকালেও নেপালে ৬ জনের দেহ উদ্ধার হল। এই নিয়ে গত পাঁচ দিনে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ৬১। উল্লেখ্য, শনিবার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সুশীলা কার্কি।
নেপালে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছে। তবে রবিবার সকালেও নেপালে ৬ জনের দেহ উদ্ধার হল। এই নিয়ে গত পাঁচ দিনে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ৬১। উল্লেখ্য, শনিবার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সুশীলা কার্কি।
সকাল ১১টা নাগাদ নতুন সিংহ দরবার দফতরে প্রবেশ করেন তিনি। আপাতত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিল্ডিংই তাঁর অস্থায়ী কার্যালয়।
সুশীলা কার্কির উত্থানের পেছনে নেপালের তরুণ প্রজন্মের সরাসরি প্রভাব রয়েছে। জেন জি র দাবি ছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং তাঁর মন্ত্রিসভা ভয়ঙ্কর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।
পাঁচ দিন ধরে উত্তাল নেপাল জুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিক্ষোভ ছড়ায় কাঠমান্ডু থেকে বিরগঞ্জ পর্যন্ত। সরকারি সূত্রে খবর, অন্তত ৬১ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই আন্দোলনে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই তরুণ।
শনিবার সকালেই কাঠমান্ডুর ভাটভাটেনি সুপার স্টোর থেকে ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়।
আন্দোলনের ফলে নেপালের অর্থনীতি কার্যত ভেঙে পড়েছে। বিশেষ করে পর্যটন নির্ভর হোটেল শিল্প মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
প্রায় ২৫ বিলিয়ন নেপালি রুপির ক্ষতি হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। দুই ডজনেরও বেশি হোটেল ভাঙচুর, লুট বা আগুনে পুড়ে গিয়েছে।
তবুও আশার আলো দেখছেন সাধারণ মানুষ। বিরগঞ্জে ক’ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল হওয়ায় দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে।
স্থানীয়দের একাংশ বলছেন, নতুন সরকার যেন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলে। এক বিরঞ্জবাসী বললেন, 'আমরা চাই সব কিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠুক। নতুন সরকারের কাছে অনেক আশা রয়েছে। আন্দোলনকারীরাও এখন শান্ত হয়েছেন।'
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া জেন জি প্রজন্মও আপাতত আশাবাদী। তাঁদের কথায়, 'আমাদের মূল দাবি ছিল দুর্নীতিমুক্ত নেপাল। সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে নতুন আইন আসুক। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক। আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।'
অস্থিরতার আবহ কাটিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন এসেছে। কাঠমান্ডুর রাস্তায় আর সেনা নেই। কার্ফু উঠে যাওয়ায় দায়িত্ব ফিরেছে নেপাল পুলিশের হাতে।
যান চলাচলও ফের স্বাভাবিক হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ আবার দায়িত্বে ফিরেছেন। দিন কয়েক আগেও যেখানে দমবন্ধ পরিস্থিতি ছিল, সেখানে এখন শ্বাস নেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।